নিউজ ডেস্ক : ইতালির মধ্যাঞ্চলীয় পার্বত্য এলাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৮১ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিদেশিও রয়েছেন। শুক্রবার ভূমিকম্পের তিনদিন পর ধ্বংসস্তূপের মধ্যে জীবিত কাউকে খুঁজে পাওয়ার আশা কমে যাওয়ায় কোনো কোনো এলাকায় উদ্ধারকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বিবিসি বলছে, শনিবার ইতালিজুড়ে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে। এদিন সারাদেশে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর অন্যতম আরকুয়াটায় নিহতদের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে শেষকৃত্যের আয়োজন করা হয়েছে, এতে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও রেনজির উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
দুর্গত এলাকাগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি করে এলাকাগুলোর পুনর্গঠনের জন্য পাঁচ কোটি ইউরোর একটি তহবিল গঠনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
ভূমিকম্পে আমাত্রিসি শহর মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। কুকুর নিয়ে জরুরি উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপে তল্লাশি চালাচ্ছেন, কিন্তু সেখানে প্রাণের কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
শহরটির মেয়র সের্গিও পিরোজ্জি সাংবাদিকদের বলেন, “কেবল অলৌকিক কিছুই আমাদের বন্ধুদের ওই ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত ফিরিয়ে আনতে পারে, তারপরও আমারা ধ্বংসস্তূপ সরানোর চেষ্টা করছি কারণ অনেকেই নিখোঁজ আছেন।”
কাছের গ্রামগুলো থেকে, যেমন পেসকারা দেল টরোনটো, সব বাসিন্দার পরিণতি জানার পর উদ্ধার কাজ পরিত্যক্ত হয়েছে।
রাজধানী রোম থেকে বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি ৩৮৮ জন আহতকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, এদের মধ্যে ৪০ জনের অবস্থা সঙ্কটজনক।
প্রানহানির শিকার বিদেশিদের মধ্যে ছয়জন রোমানীয়, একজন স্পেনীয়, একজন কানাডীয় ও একজন আলবেনীয়। এছাড়া ১৪ বছরের এক কিশোরসহ তিন ব্রিটিশ পর্যটকও মারা গেছেন।
২০০৯ সালে পর থেকে ইতালিতে সংঘটিত সবচেয়ে প্রাণঘাতী এই ভূমিকম্পে প্রায় আড়াই হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
বুধবার ভোররাতে ছয় দশমিক দুই মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর থেকে আরও এক হাজার ৫০টিরও বেশি পরাঘাত অনুভূত হয়েছে। এতে যেসব ভবনগুলো অক্ষত ছিল সেগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে আমাত্রিসিতে যাওয়ার একটি সেতুও রয়েছে।
শুক্রবার সেতুটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে উদ্ধার অভিযানে আরো জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
মূল ভূমিকম্পটি এতই শক্তিশালী ছিল যে উপকেন্দ্রের কাছের শহর অ্যাকুমোলি ২০ সেন্টিমিটার দেবে গেছে বলে জানিয়েছে ইতালির ভূতাত্ত্বিক ইনস্টিটিউট।
Be the first to comment on "ইতালির ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৮১"