নিউজ ডেস্ক :
অসময়ে ছুটি
কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে সময়ের অপব্যবহার সবচেয়ে বাজে কাজের একটি। সাপ্তাহিক বা কয়েক দিনের ছুটিকে বিবেচনায় আনা যেতে পারে। এই দিনগুলোতে আপনি অফিসের কাজ করেন না, অথচ পারিশ্রমিক ঠিকই পান। ছুটি দিতে অফিসের সমস্যা নেই। কিন্তু অফিসের বিশেষ প্রয়োজনের সময় ছুটি নেওয়া যাবে না। বছরের বিশেষ কিছু সময় অফিসে কাজের চাপ বেশি থাকে। তখন ব্যক্তিগত ছুটির আবেদন অফিসকে কষ্ট দেয়।
করণীয়
আপনারও জরুরি প্রয়োজন থাকতে পারে। কাজেই সহজ পন্থা হলো ছুটি কেন দরকার সে বিষয়ে অফিসের কাছে স্বচ্ছ থাকা। বেশি সময়ের ছুটি দরকার হলে অবশ্যই আগে থেকেই জানান দিতে হবে। হঠাৎ ঘোষণা দিলে অফিস আপনার বিকল্প খুঁজে বের করতে হিমশিম খাবে।
অসুস্থের দিনগুলোতে
এই দিনের সঙ্গে ব্যক্তিগত দিনের পার্থক্য রয়েছে। অসুস্থ থাকার কারণে প্রতিষ্ঠান আপনাকে ছুটি দেয়। এসংক্রান্ত বিশেষ নিয়ম রয়েছে। প্রতিষ্ঠানভেদে নিয়মের পার্থক্য থাকতে পারে। যাই হোক, নিয়মটা মেনে চলতে হবে। স্রেফ ছুটি কাটাতে অসুস্থতার অজুহাত দিলে প্রতিষ্ঠান কি আর মেনে নেয়? আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে তারা।
করণীয়
অনেক কর্মী প্রতি সপ্তাহে অসুস্থতার কথা বলে এক দিন করে অফিসে আসে না। এটা এক ধরনের অযোগ্যতা। তাই সত্যিকার অর্থে অসুস্থ হলেই শুধু ছুটি নিন। নয়তো এমন অসুস্থ কর্মীকে কোনো প্রতিষ্ঠানই কর্মী হিসেবে রাখবে না।
দীর্ঘ লাঞ্চ ব্রেক
দুপুরের খাবারে ইচ্ছামতো সময় ব্যয় করার সুযোগ থাকলে ভালো। সাধারণত লাঞ্চ ব্রেক মানেই প্রায় এক ঘণ্টা সময় মেলে। কিন্তু আড্ডার মেজাজে এর পেছনে ঘণ্টা দুয়েক সময় খরচ করলে তা প্রতিষ্ঠানের নিয়মের পরিপন্থী হয়।
দ্রুত বেরিয়ে পড়া
কর্মদিবস শেষের অপেক্ষায় বসে থাকলে তা আপনার আচরণে প্রকাশ পাবে। আবার কাজকর্মে অলস থাকলে তা কর্তৃপক্ষের কাছে বড়ই বিরক্তিকর ঠেকে। যে কর্মীরা ঠিক সময় বা দেরিতে আসে আর সময় হলেই বেরিয়ে যায়, তাদের ওপর কর্তৃপক্ষের কুদৃষ্টি পড়ে।
করণীয়
অফিসে সময়মতো আসা পেশাদারিত্বের লক্ষণ। তাই কাজটি যথাযথভাবে সারবেন। আর যদি বিলম্ব হয়েই যায়, তবে অফিস শেষ হলেই দৌড় দেবেন না। চাকরি বাঁচাতে কর্মীদের এ তালিকা থেকে আপনি নিজেই বেরিয়ে আসুন।
–চিট শিট অবলম্বনে সাকিব সিকান্দার
Be the first to comment on "কর্মক্ষেত্রে সব সময় মাথায় রাখুন"