নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিকে আহবান জানিয়েছেন।
আজ শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) এ জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এই আহবান জানান।
ন্যাপের কার্যকরি সভাপতি আমিনা আহমেদ এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু, আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়–য়া, জাতীয় পার্টি জেপির মহাসচিব শেখ সহিদুল ইসলাম, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহবায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এনামুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে ন্যাপের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদের রেকর্ড কৃত বক্তব্য সম্মেলন উপলক্ষে সারাদেশে থেকে আগত কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের শোনানো হয়।
রাশেদ খান মেনন বলেন, দেশে পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টাও করা হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক হামলার মধ্য দিয়ে তারা আগামীতে আরও বড় ধরনের আঘাত হানার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় ফিরে আসলে দেশে জঙ্গিবাদ ফিরে আসবে। দুর্নীতি ও লুটপাট বৃদ্ধি পাবে। এর আগে ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে তারা জঙ্গীবাদকে মদদ দিয়েছিল বলেই সে সময়ে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিল।
সকল প্রগতিশীল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে গোলাম আরিফ টিপু বলেন, প্রতিক্রিয়া শীল চক্র এখনও দেশ বিরোধী চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। জঙ্গিবাদের মদদদাতারাই এখন জঙ্গি দমনের কথা বলছে। তাই প্রগতিশীল শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধনিতা বিরোধী শক্তিকে বিদায় করতে হবে।
তিনি বলেন, সরকার বিরোধীরা যারা জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার সাথে হাত মিলিয়ে ক্ষমতায় যাবার চক্রান্ত কেরছিল তাদের দেশের জনগণ প্রত্যাক্ষান করেছে।
সম্মেলনের শুরুতে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ সময়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
Be the first to comment on "‘জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে’"