নিউজ ডেস্ক : দেশের সর্বোচ্চ আদালত যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার প্রতিবাদে আজ বুধবার জামায়াতের ডাকা দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালে চলছে সব ধরনের যানবাহন। আজ বুধবার সকালে রাজধানীর নতুন বাজার, বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ, কাকরাইল, গুলিস্তান, শাহবাগ, কারওয়ানবাজার ও বনানী এলাকায় সকালে হাল্কা যানজট দেখা গেছে।
এদিকে হরতালের মধ্যে যাত্রী, শ্রমজীবী মানুষ, অফিসগামী কর্মব্যস্ত মানুষকে যার যার মতো গন্তব্যে ছুটতে দেখা যায়। তবে রাজধানীতে সকাল থেকে হরতালের সমর্থনে কোনো মিছিল করতে দেখা যায়নি। এছাড়া যে কোন অপ্রীতিকর পরিস্তিতি এড়াতে সড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে।
হরতালের প্রভাব বিষয়ে সকাল ৭টায় নতুন বাজারে কথা হয় অফিসগামী একজন বলেন, এখন আর হরতাল হয় না। প্রতিদিন যে সময়ে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হই আজও ঠিক সেই সময়ে বের হয়েছি। গাড়ি চলছে। তবে হরতাল হলে সবার অনেক ক্ষতি হয় সেকথাও বললেন তিনি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, সকালে বাড্ডায় কতো যানজট দেখছেন ভাই। হরতাল কই? যানজটেরে কারণে তো যেতে পারছি না। হরতাল বলে এখন আর কিছুই নেই।
মঙ্গলবার আপিল বিভাগের রায়ের পর দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমান এক বিবৃতিতে এই হরতালের ডাক দেন। বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে একের পর এক হত্যা করছে। সরকারের সেই ষড়যন্ত্রের শিকার মীর কাসেম আলী। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে কাসেমের জড়িত থাকার বিষয়টি আদালতে প্রমাণিত হলেও একে সরকারের ‘মিথ্যা, বায়বীয় ও কাল্পনিক অভিযোগ’ বলা হয়েছে বিবৃতিতে।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমান বিবৃতিতে অভিযোগ করেন, মীর কাসেম আলীকে হত্যার সরকারি ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এবং তিনিসহ জামায়াতের আটক সকল নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে আমি আজ ৩১ আগস্ট বুধবার সারাদেশে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করছি। অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ি, হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিস, হজযাত্রীদের বহনকারী যানবাহন ও সংবাদপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গাড়ি হরতালের আওতামুক্ত থাকবে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
Be the first to comment on "জামায়াতের ডাকা হরতালের প্রভাব নেই রাজধানীতে"