জামায়াতের হরতালে স্বাভাবিক বন্দরনগরী

নিউজ ডেস্ক :  যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার প্রতিবাদে জামায়াতের ডাকা হরতালে তেমন কোন পড়েনি বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। আজ বুধবার হরতাল শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত নগরী কিংবা জেলার কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।  হরতালের সমর্থনে জামায়াত-শিবিরের মিছিল-সমাবেশ, পিকেটিংয়ের খবরও পাওয়া যায়নি। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, গণপরিবহন, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ সব ধরনের যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে। হরতালে সকালের দিকে যান চলাচল কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নগরীর সড়কগুলোতে যান চলাচল বেড়েছে। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি কম চলাচল করছে। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে।

সকাল থেকে সবকটি ট্রেন যথাসময়ে চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে গেছে। তবে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল কিছুটা কম। দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা প্রায় সবই খোলা দেখা গেছে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকেও পণ্যবোঝাই পরিবহন স্বাভাবিকভাবে বের হতে দেখা গেছে। নগরীতে স্বাভাবিকভাবেই গণপরিবহন চলাচল করেছে।  তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশই হরতালের কারণে বন্ধ রয়েছে। নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, শহরে হরতালের কোন প্রভাব নেই।  নগরীতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

হরতালে জামায়াতের নেতাকর্মীদের নগরী কিংবা জেলার কোথাও মিছিল-সমাবেশ, পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি। সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় নগরী ও জেলায় অতিরিক্ত দেড় হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মো. রেজাউল মাসুদ বলেন, মহাসড়কে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল কিছুটা কম।  পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ ও স্বাভাবিক রয়েছে। হরতালে যাতে কোনো প্রকার নাশকতার সৃষ্টি না হয় সেজন্য পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

 

Print Friendly, PDF & Email
basic-bank

Be the first to comment on "জামায়াতের হরতালে স্বাভাবিক বন্দরনগরী"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*