শিরোনাম

নিউজিল্যান্ড সফরে সৌম্যর বিকল্প কে?

নিউজ ডেস্ক : ২৩ সদস্যের বিশাল বহর নিয়ে নিউজিল্যান্ড সফরে গেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। এর আগে অস্ট্রেলিয়ায় করেছে প্রস্তুতি ক্যাম্প।

কেমন হয়েছে সেই প্রস্তুতি তার প্রমাণ মাঠেই পাওয়া যাচ্ছে। অনেকদিন পর দল নির্বাচনে যেমন ছন্নছাড়া অবস্থা, তেমনি ছন্নছাড়া অবস্থা মাঠের পারফর্মেন্সেও। এবারের সিরিজে যে বিষয়টি নিয়ে জোর আলোচনা চলছে তা হলো সৌম্য সরকার। এই নামটি নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরাও এখন দুই ভাগে বিভক্ত। যদি তিনি অবহেলার শিকার হন তবে হয়ত আরেকটি দারুণ প্রতিভা হারাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কোচের কঠোর মনোভাবের কারণে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তিনি বাদ পড়লেন একাদশ থেকে। কিন্তু খুঁজে পাওয়া গেল না তার বিকল্প!
জাতি হিসেবে আমরা এমনিতেই সমালোচনাপ্রবণ। কেউ দু-তিনটি সিরিজ খারাপ খেললেই তাকে সমালোচনার বাণে বিদ্ধ করতে সমর্থকরা উঠে-পড়ে লাগেন। যার সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন হয়তো দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। টানা দুই বছর ফর্মহীনতায় ভুগতে থাকা এই ড্যাশিং ব্যাটসম্যানকে দল থেকে বাদ দিতে যেন উঠে পড়ে লেগেছিল সবাই। তাকে নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ কম হয়নি। কিন্তু টিম ম্যানেজম্যান্ট তামিমের ওপর আস্থা রেখেছিলেন। সেই তামিম এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে সেরা এবং অপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিকেটার। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গত বছর সেই কামব্যাক ম্যাচে সেঞ্চুরি করে দর্শকদের উদ্দেশে তাই ‘চুপ থাকো’ ভঙ্গি করেছিলেন তিনি।

তারপর থেকে আবারও সমালোচকদের ভীষণ প্রিয় হয়ে উঠলেন তামিম। একসময় অফ ফর্মে থাকা রিয়াদকেও ‘মুশফিকের আত্মীয়’ বলে কম বিদ্রুপ করা হয়নি। সেই রিয়াদকে নিয়েও এখন সমর্থকদের মাতামাতি আছে। তবে সেই মাতামাতির মধ্যে সমালোচনার নতুন উপলক্ষ হলেন সৌম্য সরকার। তাকে নিয়েই এখন সমর্থকদের মধ্যে বিভক্তি। এক দল বলে চলছে তাকে বাদ দেওয়া হোক। অন্যদল বলে চলছে তাকে চাপমুক্ত রেখে আরও সময় দেওয়া হোক। একটা সময় নাসির হোসেনকে দলে অন্তর্ভূক্ত করা নিয়ে দর্শকদের মধ্য বিভক্তি দেখা গিয়েছিল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দলে ফেরার পর নিজেকে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন। বিপিএলেও ছিল না নজরকাড়া কোনো পারফর্মেন্স। তাই আবারও বাদ পড়েন নিউজিল্যান্ড সফর থেকে। যদিও সেই নাসির এখন ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন।

প্রশ্ন হলো চলতি নিউজিল্যান্ড সফরে যদি সৌম্যকে আর একাদশে না নেওয়া হয় তবে তার বিকল্প কে হবেন? দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তানভীর সৌম্যর বিকল্প হিসেবে খেললেননি। খেলেছেন ‘লেগ স্পিনার’ এবং ‘লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান’ হিসেবে। যথারীতি তিনি ব্যর্থ হয়েছেন এমনকী প্রতিপক্ষের সাথে বাজে আচরণ করে তিরস্কৃতও হয়েছেন। বিপিএলে ব্যাটিং করে আলোচিত হওয়া মেহেদী মারুফ স্কোয়াডে ছিলেন। কিন্তু পরে তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। বিপিএলে ভালো করে আলোচিত হয়েছিলেন শাহরিয়ার নাফীসও। কিন্তু ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে থাকা এই দুই ক্রিকেটারকে নিয়েও নতুন করে আগ্রহী নয় টিম ম্যানেজম্যান্ট। ক্রিকেটপ্রেমীদের আলোচনায় ছিলেন আরেকজন। তার নাম মমিনুল হক।

মমিনুল হক মানেই টেস্ট দলে অপরিহার্য। তিনি যেন আর অন্য কোনো ফরম্যাট খেলতে পারবেন না। এটাই অলিখিত ভাবে মমিনুলের ভাগ্যে লেখা হয়ে গেছে। আপাতত তিনি টেস্ট ম্যাচদুটোর জন্য অনুশীলন করে কাটাচ্ছেন। সৌম্যের জায়গায় ওপেন করতে নামা ইমরুল কায়েসও দলের প্রয়োজন মেটাতে ব্যর্থ হচ্ছেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, একজন ফর্মে থাকা হার্ডহিটিং মেজাজী ব্যাটসম্যানের অভাব বোধ করছে এখন বাংলাদেশ দল। সৌম্য এজন্য পারফেক্ট ছিলেন। তিনি যে জায়গায় ব্যাট করেন সেই জায়গাতেই এমন একজন ব্যাটম্যানের চাহিদা আছে। সাব্বিরকে আপাতত তিন নম্বরে উঠিয়ে আনা হলেও শুন্যস্থান তো থেকেই যাচ্ছে। তৃতীয় ওয়ানডের আগে সেই শুন্যস্থান নিয়ে ভাববেন কী?

Print Friendly, PDF & Email
basic-bank

Be the first to comment on "নিউজিল্যান্ড সফরে সৌম্যর বিকল্প কে?"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*