নিউজ ডেস্ক : মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর জন্য অভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়াসহ ১৫টি দফার সুপারিশ করেছেন শিক্ষাবিদরা। এর মধ্যে শারীরিক শিক্ষা, চারু ও কারুকলাসহ কয়েকটি বিষয় পাবলিক পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত না রাখা, ২০১৯ সাল থেকে সব বোর্ডে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয় রয়েছে। সম্প্রতি দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের নিয়ে দুই দিনের এক কর্মশালায় এসব সুপারিশ উঠে এসেছে বলে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আজ সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে শিক্ষাবিদদের এসব সুপারিশ তুলে ধরেন। এসব সুপারিশের ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও জানান তিনি। এ সময় বিশিষ্ট কয়েকজন শিক্ষাবিদ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে পাবলিক পরীক্ষার সময় এবং শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ কমাতে এসএসসি পর্যায়ে শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ও খেলাধুলা, চারু ও কারুকলা ও ক্যারিয়ার শিক্ষাকে পাবলিক পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত না করে এগুলোকে বিদ্যালয় পর্যায়ে ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়ন করা। বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) ও সৃজনশীল প্রশ্নের মানোন্নয়নে আইটেম ব্যাংক (নাম পরিবর্তন হতে পারে) করা। ২০১৯ সাল থেকে সব বোর্ডে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া। ২০১২ সালের শিক্ষাক্রম পর্যালোচনার জন্য দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও অন্যদের সমন্বয়ে একটি কমিটি করা। নবম ও দশম শ্রেণির কয়েকটি বই পরিমার্জন করে আকর্ষণীয় সুখপাঠ্য করা।
সুপারিশের মধ্যে আরও রয়েছে ২০১৭ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ওই ফলাফলের ভিত্তিতে পরীক্ষামূলকভাবে মানসম্মত করা। বাংলাদেশের পরীক্ষা পদ্ধতি বিশ্বে প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার জন্য এটা করা হবে।
Be the first to comment on "মাধ্যমিকে মান বাড়াতে ১৫টি সুপারিশ"