শিরোনাম

‘শেষ মুহুর্তেও চেয়েছিলাম যাতে ডিভোর্স না হয়’

নিউজ ডেস্ক : বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল তাদের পারিবারিক সমস্যা। সংসারের ভেতরের খবর বোঝা যায় নি। গত ২০ তারিখে বিয়ে বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে আনুষ্ঠানিক ভাবেই। এ সময় সালমাকে মোহরানার ২০ লাখ এবং আনুষাঙ্গিক সকল টাকা পরিশোধ করেছেন তার স্বামী শিবলী সাদিক। তবে সালমা বিভিন্ন গণধ্যমের কাছে দাবি করেছেন তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন সংসার টিকিয়ে রাখার।

অভিমান করে কিছুদিন আলাদা থাকলেও অপেক্ষা করেছেন শিবলী কখন তাকে ফিরে আসতে বলবে। কিন্তু সে ফিরে আসে নি, উলটো বিয়ে বিচ্ছেদের সুরে হাঁটতে থাকেন। এমনটাই জানান সালমা। শেষ মুহূর্তেও এমনকী ডিভোর্সের পূর্ব মুহূর্তেও তিনি বিচ্ছেদের বিপক্ষে ছিলেন বলে জানান। কিন্তু শিবলী গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন সালমা-ই ডিভোর্সের জন্য উদ্যোগী হয়েছিলেন।

শিবলীর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের কথা বিবেচনা করেই ডিভোর্সের কথা গোপন রেখেছিলেন সালমা। চেয়েছিলেন শিবলীর ক্যারিয়ারের ওপরে যাতে এর প্রভাব না পড়ে। কিন্তু সালমা ও শিবলীর বিয়ে বিচ্ছেদের কথা দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ, ফুলবাড়ী, পার্বতীপুর এলাকায় মানুষের মুখে মুখে ভাসতে থাকে। এ সময় কালের কণ্ঠের এক অনুসন্ধানে এই জনপ্রিয় জুটির বিয়ে বিচ্ছেদের খবর বেরিয়ে আসে।

শিবলী সঙ্গীত পরিবারের ছেলে। বাবা মোস্তাফিজুর রহমান ফিজু সঙ্গীত অনুরাগী একজন মানুষ ছিলেন। বাবা ছিলেন স্থানীয় সাংসদ। বাবা ২০০৬ সালে মারা যাওয়ার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগের হাল ধরেন শিবলী সাদিক। সর্বশেষ নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ সময় মৌসুমী আকতার সালমা গণমাধ্যমের নিকট নিজের স্বামীর সাংসদ নির্বাচিত হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভায় গঠনের পূর্বে সালমা মন্ত্রীর বৌ হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।

সালমা বলেন, টাকার লোভেই যদি আমি ডিভোর্স দেওয়ার কথা চিন্তা করতাম তাহলে তো ডিভোর্স দিতাম না। টাকার লোভ থাকলে তো শিবলীকে ছেড়ে যেতাম না। আমিও তার কাছে ভালোবাসা চেয়েছি। সব সময় ভালোবাসার অপেক্ষায় থেকেছি। আমি শিবলীকে এখনো ভালোবাসি।

সালমা বলেন, আমি রাত করে বাড়ি ফিরি এটা ঠিক না। আমার টেলিভিশনের একটা শো ছিল। যেটা রাত দুইটার সময় শেষ হয়। সেদিন আমি দেরি করে ফিরেছিলাম। কিন্তু আমার সঙ্গে আব্বু আম্মু ছিলেন। আমার গুরুজি ছিলেন। আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা।

ফোক গায়িকা সালমা এনটিভির রিয়েলিটি শো ‘ক্লোজআপ তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’ এর মাধ্যমে রাতারাতি সংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। দিনাজপুরের সংগীত পরিবারের ছেলে শিবলী সাদিক পছন্দ করেন সালমাকে। ২০১১ সালে সালমা ও শিবলী সাদিকের পারিবারিকাভাবেই বিয়ে সম্পন্ন হয়।

Print Friendly, PDF & Email
basic-bank

Be the first to comment on "‘শেষ মুহুর্তেও চেয়েছিলাম যাতে ডিভোর্স না হয়’"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*