নিউজ ডেস্ক : কর্মরত অবস্থায় কোন শ্রমিক মারা গেলে তার পরিবারকে ৫ লাখ টাকা প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক। এর মধ্যে শ্রমিকদের জন্য গঠিত ফান্ড থেকে ৩ লাখ টাকা ও বীমা থেকে ২ লাখ টাকা প্রদান করা হবে। আজ বুধবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে নারীশ্রমিক সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান। কোন শ্রমিকের বড় অসুখ (যেমন ক্যান্সার) হলে তাকে ১ লাখ টাকা প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। এ ছাড়া শ্রমিকদের সন্তানদের সরকারী মেডিক্যাল কলেজে পড়ার ক্ষেত্রে ৩ লাখ টাকা, সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকা ও নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ৯-১০ মাস ২৫ হাজার টাকা করে মাসিক প্রদান করা হবে।
এক্ষেত্রে শ্রমিকদেরকে শ্রম মন্ত্রণালয়ে ওয়েবসাইট থেকে ফরম নিয়ে পূরন করে জমা দিতে হবে। এ সময় প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রাথমিকভাবে ১ লাখ শ্রমিককে প্রভিডেন্ট ফান্ডের আওতায় আনা হবে। যেখানে শ্রমিক ও সরকারের ফান্ড থেকে টাকা প্রদান করা হবে। যা একটি নির্দিষ্ট সময় শেষে সুদসহ সম্পূর্ণ অংশ শ্রমিক পাবে। আর এই ফান্ড ম্যাচুরড (পরিপক্ব) হওয়ার আগে কোন শ্রমিক মারা গেলে, তার পরিবার জমাকৃত টাকাসহ সরকার থেকে আরও ২ লাখ টাকা পাবে।
বর্তমান সরকার সবচেয়ে বেশি নারীদের ক্ষমতায়নকে গুরুত্ব দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রতিমন্ত্রী। একইসঙ্গে সরকার আগামিতে নারীদের আন্দোলনে পাশে থাকবে বলেও জানান। তবে নারীরা তার কর্মক্ষেত্রে নিজেদের অধিকার নিয়ে সচেতন না। অনেক গার্মেন্টসে ৮০ শতাংশ নারী হলেও কোন ট্রেড ইউনিয়ন না থাকার পেছনে নারীদের সচেতনতার অভাবকে দায়ী করেন। তবে ভবিষ্যতে নারীরা ট্রেড ইউনিয়ন করতে চাইলে অগ্রাধিকার দেওয়ার ঘোষণা দেন।
নারীশ্রমিক কণ্ঠের আহ্বায়ক শিরীন আখতার জানান, যারা নারীদেরকে তেতুলের সাথে তুলনা করে, তারা কাউকে সম্মান করতে পারে না। এসব মানুষ অন্ধকার জগতে বসবাস করছে। নারীদেরকে সম্মান ও তাদের শ্রমের মূল্যায়ন করা উচিত। মানবতার মুক্তির জন্য নারীকে সমতায়ন করতে হবে। সম্মেলনে নারী শ্রমিকদের স্বার্থে ১০ টি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। নারীশ্রমিক কন্ঠের সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তার এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
Be the first to comment on "শ্রমিক মারা গেলে ৫ লাখ টাকা: মুজিবুল হক"