নিউজ ডেস্ক : সংশোধিত শ্রম আইনের অধীনে সরকার শিঘ্রই কৃষিশ্রমিক বিধিমালা প্রণয়ন করবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেছেন, কৃষিশ্রমিকদের তালিকা প্রণয়ন, নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান করতে হবে। সরকার পল্লী রেশনিং চালুর চিন্তা-ভাবনা করছে। তাই রেশনিংয়ের আওতায় আনার জন্য স্থায়ী ও অস্থায়ী কৃষিশ্রমিকদের চিহ্নিত করতে হবে পৃথকভাবে। এই কাজটি প্রাথমিকভাবে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) উদ্যোগে করা যেতে পারে। বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পল্লী সহায়ক কর্ম ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ভবনের অডিটোরিয়ামে ‘কৃষিশ্রমিকদের সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। কৃষিশ্রমিক অধিকার মঞ্চ, কর্মজীবী নারী ও পিকেএসএফ যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। একই অনুষ্ঠানে ইউপি নির্বাচনে সদস্য পদে বিজয়ী নয় জন নারী কৃষিশ্রমিক এবং একজন পুরুষ কৃষিশ্রমিক নেতাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
পিকেএসএফ সভাপতি অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কর্মজীবী নারীর নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া রফিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ আবদুল ওয়াদুদ এমপি, কর্মজীবী নারীর সভাপতি ড. প্রতিমা পাল মজুমদার এবং পিকেএসএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আবদুল করিম। ধারনাপত্র উপস্থাপন করেন ভূমিহীন সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুবল সরকার। ধারনাপত্রে বলা হয়, দেশের গ্রামীণ পরিবারের ৫৫ থেকে ৬০ ভাগ নারী-পুরুষ নিয়মিত বা অনিয়মিতভাবে জমি ভাড়ায় নিয়ে বা অন্যের জমিতে শ্রম দিয়ে থাকে। এসব ভূমিহীন কৃষিশ্রমিকদের সারাবছরের কর্মসংস্থানের কোনো নিশ্চয়তা নাই। আবার পুঁজিবাদী উন্নয়ন ব্যাপকহারে প্রান্তিক ও খুদে কৃষকদেরকে ভূমি থেকে উচ্ছেদ করে পরিণত করছে কৃষিশ্রমিকে। ধারনাপত্রে কৃষিশ্রমিকদের তালিকা তৈরি ও কৃষিশ্রমিক বিধিমালা প্রণয়নসহ ১৬ দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাসানুল হক ইনু বলেন, প্রায় সাড়ে ১২ হাজার নারী সদস্য ইউনিয়ন পরিষদে কাজ করছেন, যাদের সিংহভাগই এসএসসির গ-িও পেরুতে পারেন নি। নারীর ক্ষমতায়নের এটি অনন্য উদাহরণ। পরিষদের কাজ বিলি-বণ্টনের ক্ষেত্রে তারা যাতে বৈষম্যের শিকার না হন এটি নিশ্চিত করতে হবে। কৃষিশ্রমিকদের তালিকা প্রণয়নের কাজে প্রাথমিকভাবে এসব এসব নারী সদস্যদের যুক্ত করার পরামর্শ দেন মন্ত্রী। ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, বঙ্গবন্ধু উচ্চারিত ‘মুক্তির সংগ্রাম’ এখনো চলমান। দেশের বিশেষ জনগোষ্ঠীগুলো উন্নয়নের ছোঁয়া পায়নি। কৃষিশ্রমিক, প্রতিবন্ধী, দলিত, চা শ্রমিক, হাওরবাসী, আদিবাসী ইত্যাদি জনগোষ্ঠীকে উন্নয়ন কর্মকা-ের অন্তর্ভুক্ত করতে না পারলে এসডিজি অর্জন করা যাবে না। একাজ সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই বেসরকারী উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে।
Be the first to comment on "সরকার শিঘ্রই কৃষিশ্রমিক বিধিমালা প্রণয়ন করবে ॥ তথ্যমন্ত্রী"