নিউজ ডেস্ক॥ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোল্যা আকিদুল ইসলাম’র মেয়ে ও লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তাকিয়া (১৪) সোমবার (৬জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলার মল্লিকপুর নামকস্থানে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হয়। এ দৃর্ঘটনায় তাকিয়াসহ ৬জন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। আহতকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন বোয়ালমারী উপজেলার ছোলনা গ্রামে তাকিয়ার খালাদের একই পরিবারের শরীফুল ইসলাম হাদী, তাবাসসুম, তানজু, তাকিয়া, পুলিশের এসআই ফারুক হোসেন ও মাইক্রোবাস চালক নড়াইলের সদর উপজেলার নাহিদ। দুর্ঘটনায় শরীফুলের স্ত্রী রিব্বি গুরুতর আহত হয়েছেন। এদিকে তাকিয়ার মরদেহ নিয়ে লোহাগড়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানার সংবাদ শুনে তার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হায়াতুজ্জামান, সহকারী শিক্ষক আব্দুস সালাম, জাহাঙ্গীর হোসেনসহ অন্য শিক্ষক ও বিদ্যালয়ে তার সহপাঠিরা ছুটে যান কালনা ফেরিঘাটে। প্রথমে তাকিয়ার মরদেহ আনা হয় লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় চত্তর ও পরে নিজ বাড়ি লোহাগড়া পৌর শহরের জয়পুর গ্রামে। বিদ্যালয়ে তার সহপাঠি ও পরিবারের মাঝে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়। সোমবার বিকাল ৫টায় স্থানীয় জয়পুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে তার জানাজা শেষে জয়পুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তার অকাল মৃত্যুতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, সূশীল সমাজ ও রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপনসহ আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন।
লোহাগড়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আমানুল্লাহ আল বারী দুর্ঘটনায় তাকিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কাল রাত থেকে ভোর পর্যন্ত ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায় এই দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
Be the first to comment on "সড়ক দুর্ঘটনায় লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে শোকের মাতম"