নিউজ ডেস্ক : পর্যটন সুবিধায় আনা ৮৫টি বিলাসবহুল কার্নেট গাড়ি অবশেষে নিলামে বিক্রি করতে যাচ্ছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। চার বছরের আইনি লড়াইয়ের পর কোটি কোটি টাকা মূল্যের এসব গাড়ি বিক্রির সব ধরণের প্রক্রিয়া হয়েছে। এসব গাড়ি বিক্রি করে অন্তত ২শ’ কোটি টাকা বাড়তি রাজস্ব পাবে সরকার। তবে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আগেই খালাস হয়ে যাওয়া এ ধরণের ১শ’ ২১টি গাড়ির ব্যাপারে এখনো কোন সিদ্ধান্ত না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বারভিডা।
জাতিসংঘের চুক্তিভুক্ত দেশ না হওয়া স্বত্বেও স্বাধীনতার পর থেকে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে অন্তত ৩শ’ বিলাসবহুল গাড়ি কার্ণেট সুবিধা নিয়ে প্রবেশ করে বাংলাদেশে। প্রথমদিকে একেবারে কম আসলেও ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দু’বছরে আসে দুইশ’র বেশি গাড়ি। মূলত পর্যটনের কথা বলে বিনা শুল্কে আনা এসব গাড়ি ব্যবহার শেষে ৯০ দিনের মধ্যে ফেরত নেয়ার বিধান থাকলেও এখানে তা মানা হয়নি। দু’বছরে ১শ’র বেশি গাড়ি বন্দর থেকে খালাস করে চড়া মূল্যে বিক্রি করে দেয়া হয়। এসব গাড়ি বিক্রির ব্যাপারে বারভিডা আপত্তি জানালে নড়েচড়ে বসে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
গত তিন বছরে বেশক’বার চেষ্টা করেও বিলাসবহুল এসব গাড়ি বিক্রি করতে পারেনি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত সব ধরণের জটিলতা কাটিয়ে আগামী ৩০ ও ৩১ আগস্ট দরপত্রের মাধ্যমে ৮৫টি গাড়ি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এর মধ্যে রয়েছে বি এম ডব্লিউ ২১টি, মার্সিডিজ বেঞ্চ ১৮টি, মিতশুবিশি ১৮টি ও লেক্সাস গাড়ি রয়েছে ৮টি। বাকি ২০টি হলো ল্যান্ড রোভার, জাগুয়ার ও ফোর্ড ব্র্যান্ডের গাড়ি।
গত কয়েক বছরে কার্নেট সুবিধায় আনা অন্তত ১২১ গাড়ি অবৈধভাবে বিআরটিএর রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বারভিডার মহাসচিব মাহবুবুল হক বাবর। কাস্টমস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০০৭ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে প্রস্তুতকৃত এসব গাড়ি নিলামে কেনার জন্য যে কেউ ৫টি স্থানে দরপত্র জমা দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে সংরক্ষিত মূল্যের কমপক্ষে ৬০ শতাংশ দর উঠলেই গাড়ি বিক্রি করে দেয়া হবে।
Be the first to comment on "৮৫টি বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রির উদ্যোগ"