পাঠ্যপুস্তকে ভুল-ত্রুটির জন্য দায়ীরা রেহাই পাবে না

নিউজ ডেস্ক : পাঠ্যপুস্তকে ভুল-ভ্রান্তি ও ত্রুটির সঙ্গে দায়ী ব্যক্তিরা কেউ-ই রেহাই পাবে না বলে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, যে ভুল ভ্রান্তিগুলো ইচ্ছা ও অনিচ্ছাকৃত এবং এই ত্রুটিগুলোর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং ইতোমধ্যে কয়েকজনকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। বাকি তদন্ত সম্পন্ন হলে এসবের জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরণের কোন ভুলের পুনরাবৃত্তি না হয়।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমানের সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের অনুপস্থিতিতে তাঁর পক্ষে সংসদে উত্তর দেন গণশিক্ষা মন্ত্রী।

মন্ত্রী এ প্রসঙ্গে আরও জানান, এই বিষয়টি দুই মন্ত্রণালয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। আর এনসিটিবি বলে একটি প্রতিষ্ঠান আছে। এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন। আমাদের কোন বই দরকার হলে তারা তা ছাপিয়ে দেয়। কারকুলাম থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু ওনারা করেন। ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি করেছে। সেই তদন্ত কমিটির মাধ্যমে কিছু বিষয় উঠে এসেছে তা পত্রিকায় এসেছে।

তিনি বলেন, এবারেই কিন্তু প্রথম এ কথাগুলোর বেশিরভাগ এসেছে। তবে বইয়ের মান নিয়ে কথা উঠেনি। ভুলে ভরা কিছু কথা এসেছে। ইতিহাস বিকৃতির বিষয়টাও আসেনি। বলা হয়েছে অন্যান্য বিষয় নিয়ে। মোট কথা বিস্তারিত বিষয়টি নিয়েই তদন্ত কমিটি কাজ করছে। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেয়ার আগে শুধু এতটুকু বলতে পারি, ইতোমধ্যে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দায়ী ব্যক্তিরা কেউ-ই রেহাই পাবে না।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী স্বীকার করে বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যে যার মত করে বিভিন্ন খাতে অর্থ আদায় করছে। এটি দেশের ধনী-গরীব নির্বিশেষে সকলের জন্য উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিতকরণের পথে একটি অন্যতম অন্তরায়। বিষয়টি আমরা অনুভব করলেও বিদ্যমান আইনে এ বিষয়ে তাৎক্ষনিক প্রতিকার নিশ্চিত করার সুযোগ নেই।

তিনি আরও জানান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অর্থ আদায় সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রমের একটি সামগ্রিক সমীক্ষা হওয়া দরকার। গুরুত্ব বিবেচনায় এ বিষয়টি নিয়ে আমরা মতবিনিয়মও করেছি। ইতোমধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর কতিপয় ধারা সংশোধনের জন্য জাতীয় সংসদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির কর্তৃক একটি সাব-কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। এ পর্যায়ে আলোচ্য বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে।

সরকারি দলের অপর সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, এনসিটিবি প্রকাশিত ও অনুমোদিত পাঠ্যপুস্তক ও অপরাপর শিখন-সামগ্রীতে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদকে উৎসাহিত করে এমন কোন তথ্য বা বিষয় অন্তর্ভূক্ত আছে কিনা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। উক্ত কমিটি প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেনী পর্যন্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার সকল পর্যায়ের পাঠ্যক্রম পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করছে।

Print Friendly, PDF & Email
basic-bank

Be the first to comment on "পাঠ্যপুস্তকে ভুল-ত্রুটির জন্য দায়ীরা রেহাই পাবে না"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*