নিউজ ডেস্ক : পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যার প্রতিবাদে ফুসে উঠেছে শৈলকুপাবাসি। নির্মম এ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ ও খুনিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে আজ সকালে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার হাটফাজিলপুর বাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। শেষে হাটফাজিলপুর বাজারে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মদনপুর গ্রামে বাড়ি পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের। পিতা আব্দুল ওয়াদুদ, মা-শাহিদা বেগম। স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু ঢাকার বনশ্রী এলাকার মোশারফ হোসেনের মেয়ে।
গ্রামের পুত্রবধূ মিতু খুনের খবর শুনে হতবাক, শোকাহত গ্রামবাসি। এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে শোকাবহ পরিবেশ। গ্রামের পুত্রবধূর এমন নৃসংশ হত্যাকান্ড মেনে নিতে পারছেন না কেউ। নানা বয়সের নারি-পুরুষ দু’দিন ধরে শোক জানাতে আসছেন বাড়িতে। বাবুল আকতারের বাবা আব্দুল ওয়াদুদও পুলিশ অফিসার ছিলেন। অবসরে যাওয়ার পর মাগুরা শহরের কাউন্সিল পাড়ায় বাড়ি করে দীর্ঘ ২০ বছর বসবাস করছেন। গ্রামের বাড়িতে না থাকলেও রয়েছে নাড়ির সম্পর্ক। তাই প্রায়ই শৈলকুপার মদনপুর গ্রামের বাড়িতে যাওয়া আসা করতেন সবাই।
মদনপুর গ্রামবাসি বলেছেন, পুলিশ সুপার বাবুলের স্ত্রী মিতু খুবই ভাল মানুষ ছিলেন। তাদের যৌথ পরিবার। বাড়িতে এসে সবার সাথে আনন্দ করে কাটাতেন। ছিলেন নিরাহঙ্কারী। প্রতিবেশিদের সাথেও মধুর ব্যবহার করতেন। পাড়ার দরিদ্র মানুষের সাথেও মিশতেন। যে ক’দিন বাড়িতে থাকতেন সবাইকে নিয়ে সময় কাটাতেন।
গতবছর ঈদে এসেছিলেন। এবারও ঈদে আসার কথা ছিল। ক’দিন আগে বাড়ির সবার জন্য কাপড়-চোপড় সেমাই-চিনি পাঠিয়েছেন মিতু। তার অপেক্ষায় ছিল সবাই। কিন্ত আসা হল না।
এলাকাবাসির দাবি মিতু হত্যাকারীদের খুজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাতিতে সকালে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে এলাকার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে হাটফাজিলপুর বাজারে মানববন্ধনে মিলিত হয়। শেষে বাজারেই তারা এক সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। আলহাজ্ব নুর আলম বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সমাবেশ বক্তৃতা করেন ইউপি চেয়ারম্যান হেলাল বিশ্বাস, এমদাদুল হক, গনশিল্পী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক ইদ্রজিত কুমার প্রমূখ। সমাবেশ অবিলম্বে মিতু হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানানো হয়।
Be the first to comment on "মিতুর খুনের প্রতিবাদে শৈলকুপায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন"