নিউজ ডেস্ক : ২৩ বছর ধরে বিচারাধীন থাকা সন্দ্বীপের একটি হত্যা মামলা হাইকোর্টের আদেশে মাত্র সাড়ে তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করেছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। তবে রাষ্ট্রপক্ষ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে যুক্তিতর্ক শুনেই মামলার পাঁচ আসামিকে বেকসুর খালাসের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রবিবার চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এই আদেশ দিয়ে মামলা নিষ্পত্তির ঘোষণা দেন। ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম বলেন, রবিবার অধিকতর যুক্তিতর্ক শুনানির সময় নির্ধারিত ছিল। সকাল ১০টা থেকে আদালত দেড় ঘণ্টা যুক্তিতর্ক শুনেছেন। এরপর আদালত বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এজন্য পাঁচ আসামির সবাইকে খালাস দিয়ে মামলা নিষ্পত্তি করা হল।
সন্দ্বীপ উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের আক্কাস উদ্দিন হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া আসামিরা হল, চৌকিদার ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ, চৌকিদার মো. সিদ্দিক, মেম্বার আশরাফ উদ্দিন, মেম্বার মোমিনুল হক ফেরদৌস ও চৌকিদার সাফিউল হক। একই মামলার আরও তিন আসামি গাছুয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, দফাদার শাহজাহান হক ও চৌকিদার আবুল কাসেম মারা যাওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত। আসামিদের মধ্যে চৌকিদার ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ কারাগারে আছেন। চলতি বছরের ৮ আগষ্ট হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ১৭ বছর ধরে মামলাটির নিষ্পত্তি না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে তিন মাসের মধ্যে মামলার বিচারকাজ শেষ করার আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৩ সালের ৪ আগষ্ট চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আক্কাস উদ্দিনকে (৩০) চুরির অভিযোগে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর নিহত আক্কাসের বাবা আবুল খায়ের বাদি হয়ে ১৯৯৩ সালের ৭ আগষ্ট ছয় জনের বিরুদ্ধে সন্দ্বীপ থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে সন্দ্বীপ থানার এস আই এ এইচ এম মান্নান ১৯৯৩ সালের ১৯ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ১৯৯৯ সালের ১০ আগষ্ট থেকে সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়। বাদিসহ ১১ জন এই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন।
Be the first to comment on "আক্কাছ হত্যা মামলায় সব আসামিই খালাস"