নিউজ ডেস্ক : সিলেটে কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিস হত্যাচেষ্টা মামলার একমাত্র আসামি বদরুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠিত হয়েছে। আগামী ৫ ডিসেম্বর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার কাজ শুরু হলো। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় বদরুল আলমকে সিলেটের মহানগর আদালতের মুখ্য বিচারক সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে হাজির করা হয়। শুনানিতে বদরুলের আইনজীবী তার জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। আদালত বদরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আগামী ৫ ডিসেম্বর মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন। শুনানি শেষে দুপুর পৌনে ১২টায় বদরুলকে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নার্গিস হত্যাচেষ্টা মামলায় গত ৮ নভেম্বর বদরুলের বিরুদ্ধে মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার এসআই হারুনুর রশিদ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ১৫ নভেম্বর আদালতে অভিযোপত্রের শুনানি শেষে তা গৃহীত হয়। সিলেট মহানগরের অতিরিক্ত বিচারিক হাকিম উম্মে সরাবন তহুরা এক আদেশে মামলাটি মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়ে ২৯ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ ধার্য করেন। মামলার সরকারপক্ষের প্রধান আইনজীবী সিলেটের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ জানান, সিলেট মহানগর আদালতের মুখ্য বিচারক অভিযোগ গঠন করে আগামী ৫ ডিসেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর শাবি ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বদরুল আলম সিলেট এমসি কলেজের পুকুর পাড়ে সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। প্রথমে তাকে সিলেটে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরদিন ভোরে হেলিকপ্টারে তাকে ঢাকায় আনা হয় ও স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৫৫ দিন ওই হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে সোমবার (২৮ নভেম্বর) নার্গিসকে সিআরপিতে পাঠানো হয়। অন্যদিকে ওই ঘটনার পরপর বদরুলকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা। আর এ ঘটনায় সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। আর অসুস্থ নার্গিসের চিকিৎসাভার গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Be the first to comment on "খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলায় বদরুলের বিচার শুরু"