নিউজ ডেস্ক : দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করা নেতাদের মূল্যায়ন করে জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার রাতে গণভবনে স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে দ্যরিপোর্টকে এই তথ্য জানান ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নানা বিচার-বিশ্লেষণ করে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। এখানে মনোনয়নের বিষয় না, আমরা সিলেকশন করেছি। আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এটা বলা যাবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘সদস্য বা সংরক্ষিত সদস্যপদে আমরা সিলেকশন করছি না। এটা চূড়ান্ত করবে জেলা আওয়ামী লীগ, সংশ্লিষ্ট উপজেলা-পৌরসভা আওয়ামী লীগের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘তিনটি জরিপের ভিত্তিতে আমরা প্রার্থী সিলেকশন করেছি। এই তালিকা থেকে যারা কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেছেন তাদের নাম যাচাই-বাছাই করেই প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। বেশ কিছু জেলা থেকে ব্যক্তিগতভাবে, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকও খোঁজ-খবর নিয়েছেন। সব মিলেই প্রার্থী করা হয়েছে, ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হয়েছে।’
বিদ্রোহী প্রার্থীদের সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘আগে দেখা যাক কী হয়।’
প্রসঙ্গত, জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৬১টি জেলার চেয়ারম্যান পদে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) রাতে দলের পক্ষ থেকে এ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের।
এর আগে বৃহস্পতিবার ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও রংপুর বিভাগের জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করা হয়। শুক্রবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের প্রার্থিতা নিয়ে আলোচনা শেষে তা চূড়ান্ত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বৈঠকে মনোনয়ন বোর্ডের অধিকাংশ সদস্যই উপস্থিত ছিলেন।
সভায় তিন স্তরের জরিপ আর তৃণমূলের প্রস্তাব বিশ্লেষণ করেই এই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রার্থী তালিকায় অধিকাংশ জেলার প্রবীণ রাজনীতিবিদ মনোনয়ন পেয়েছেন। দীর্ঘদিন জেলার রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় থাকলেও কেউ কেউ কখনোই এমপি বা মন্ত্রী হতে পারেননি, তাদেরই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের মনোনয়ন দিয়ে সম্মানিত করেছে আওয়ামী লীগ।
এবারই প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। সংসদ, সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের ব্যবস্থা থাকলেও জেলা পরিষদে প্রত্যক্ষ ভোটের বিধান নেই। পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন পরোক্ষ ভোটে। ভোট দেবেন ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা ও সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। তাদের ভোটে ১ জন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য ও সংরক্ষিত ৫ জন নারী সদস্য নির্বাচিত হবেন।
Be the first to comment on "‘জেলা পরিষদ নির্বাচনে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হয়েছে’"