নিউজ ডেস্ক : রহস্য যেন তাঁদের পিছু ছাড়ছে না। আবির চট্টোপাধ্যায় এবং সোহিনী সরকার একসঙ্গে মানেই যেন রহস্যের উপাদান। ব্যোমকেশ-সত্যবতীর হিট জুটি ফের বড়পর্দার কাপল। সৌজন্যে পরিচালক অরিন্দম ভট্টাচার্যের আসন্ন ছবি ফ্ল্যাট নং ৬০৯। এই ছবিতেও রয়েছে রহস্যের গন্ধ। নববিবাহিত এক দম্পতি রাজারহাটে ফ্ল্যাট খুঁজতে বেরিয়েছেন। এক মাতব্বর ব্রোকারের পাল্লায় পড়েন তাঁরা। বাজেট অনুযায়ী ফ্ল্যাট পছন্দও হয়। কিন্তু অদ্ভুত কিছু শর্ত মেনে নিতে হয় দম্পতিকে। কখনও একটা দরজা বন্ধ করে রাখার শর্ত। কখনও বা পরিচারিকা জানিয়ে দেয়, ওই ফ্ল্যাটে দুপুরের পর আর সে কাজ করতে পারবে না। প্রতিবেশীদের সঙ্গে একে একে আলাপের পর ওই দম্পতি বুঝতে পারেন তাঁদের আচরণও কিছু ক্ষেত্রে অসংলগ্ন। কিন্তু সমস্যাটা ঠিক কোথায়? উত্তর লুকিয়ে রয়েছে ছবির ক্লাইম্যাক্সে। ঠিক এ ভাবেই চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন পরিচালক। নবদম্পতির চরিত্রে রয়েছেন আবির ও সোহিনী।
অন্তর্লীন-এর পর এটা অরিন্দমের দ্বিতীয় ছবি। ব্যোমকেশ-সত্যবতীর অনস্ক্রিন জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখেই কি আবির ও সোহিনীকে কাস্ট করলেন? অরিন্দমের জবাব, একেবারেই নয়। সত্যি বলতে ওদের জনপ্রিয়তার কথা শুনলেও আমি এখনও পর্যন্ত ব্যোমকেশ দেখিনি। আমার ছবির চরিত্র অনুযায়ীই ওদের কাস্ট করেছি। আইটি প্রফেশনালের চরিত্রে টলিউডে এই মুহূর্তে আবির ছাড়া কারও কথা মাথায় আসেনি। আর ছবির ক্লাইম্যাক্সে প্রধান মহিলা চরিত্রের একটা প্যানিক তৈরি হবে। যেটা সোহিনীই সবচেয়ে ভাল করতে পারবে বলে আমার মনে হয়েছে।
এই প্রথম ব্যোমকেশ থেকে বেরিয়ে আবিরের সঙ্গে জুটি বাঁধলেন সোহিনী। কেমন লাগছে? সোহিনী শেয়ার করলেন, আবিরদার সঙ্গে কাজ করতে সবসময়েই ভাল লাগে। আর এই ছবির বেসিক গল্পটা খুব ইন্টারেস্টিং লেগেছিল। আবিরের কথায়,ডেবিউ ফিল্ম হিসেবে অরিন্দমের অন্তর্লীন খুব ভাল ছবি। এই গল্পটার স্টোরিলাইনও আমার ভাল লেগেছে। আশা করছি একটা ভাল ছবি হবে। আবির, সোহিনী ছাড়াও এই ছবির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, মমতা শংকর, খরাজ মুখোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ প্রমুখ। অগস্টের মাঝামাঝি শুরু হবে শুটিং।
Be the first to comment on "আবির-সোহিনীর নতুন ঠিকানা ফ্ল্যাট নং ৬০৯"