নিউজ ডেস্ক: যদি কাউকে জিজ্ঞাসা করা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে রহস্যময় জায়গা কোনটি? বেশির ভাগ লোকেই বলবেন বারমুডা ট্রায়াঙ্গল। সম্প্রতি বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের কিছুমাত্র রহস্যোদ্ঘাটনের চেষ্টা করেছেন বিজ্ঞানীরা। শুধু বারমুডা ট্রায়াঙ্গলই নয়, এই পৃথিবীতে আরও কয়েকটি রহস্যময় জায়গা রয়েছে, সেই স্থানগুলো কোথায়, কেনই বা তারা রহস্যময়?
সাদার্ন নেভাদা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: এখানে একটি গোপন সেনাঘাঁটি রয়েছে। এরিয়া ৫১ নামে পরিচিত ওই সেনাঘাঁটিতে নাকি এলিয়েনদের
দেহ নিয়ে গবেষণা করা হয়। ১৯৪৭-এ রোজওয়েল ইউএফও সেখনে ক্র্যাশ করার পরই এই তথ্য মুখে মুখে
প্রচারিত হয়। যদিও এর কতটা সত্যতা রয়েছে তা জানা যায়নি। এমনকী মার্কিন সরকার এরিয়া ৫১ বলে যে কোনও সেনাঘাঁটি আছে
সে কথা আগে কখনও স্বীকার করেনি। পরে ওবামা প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরই সে কথা স্বীকার করেন।
সুপারস্টিশন মাউন্টেনস, অ্যারিজোনা: ১৮০০ শতাব্দিতে এক জার্মান ব্যক্তি জেকব ওয়াল্টস একটি সোনার খনি আবিষ্কার করেন এই পর্বতে।
তিনি কখনও কারও সঙ্গে এই কথা শেয়ার করেননি। এমনকী মৃত্যুশয্যাতেও না। যদিও এ রকম কোনও
সোনার খনি পাওয়া যায়নি সেখানে। লোকমুখে প্রচলিত ওই সোনার খনিটি টুয়ার-টামস নামে এক ধরনের আত্মা সোনার খনিটিকে রক্ষা করে।
যে যায় আর ফেরে না। আত্মা থাকুক না থাকুক জায়গাটা সেই সময় থেকে রহস্যে ঘেরা রয়েছে।
সাউথ আটলান্টিক অ্যানোম্যালি: ব্রাজিল উপকূল থেকে প্রায় ৩০০ কিমি দূরে অতলান্তিক মহাসাগরে এই জায়গায়
ভয়ানক রেডিয়েশনের জন্য পরিচিত। কোনও স্পেসক্র্যাফ্ট ও স্যাটেলাইট এই অঞ্চলের উপর এলে বিকল হয়ে যায়।
মহাকাশচারীরাও জানান, তাঁদের কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ ক্র্যাশ করে যায় যখন এই অঞ্চলের উপর চলা আসেন তাঁরা।
এই অঞ্চলের উপর দিয়ে নিজেদের স্যাটেলাইটগুলি গেলে ক্ষতি এড়াতে নাসা সেগুলি শাট ডাউন করে দেয়।
দ্য ডেভিল সি: টোকিওর ১১০ কিমি দক্ষিণে প্রশান্ত মহাসাগরে জাপানের মিয়াকে দ্বীপের কাছের অঞ্চলটি খুব রহস্যময়। একে ড্রাগন ট্রায়াঙ্গলস বলা হয়।
এখান দিয়ে জাহাজ গেলেই নিখোঁজ হয়ে যায়। ১৯৫২-তে জাপান সরকার বিষয়টি খতিয়ে
দেখতে একটি তদন্তকারী দল পাঠায়। কিন্তু পুরো দলটিই নিখোঁজ হয়ে যায়। কেন এই ঘটনা ঘটছে, তার কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।

Be the first to comment on "এই জায়গাগুলিতে গেলে ফেরে না কেউ!"