শিরোনাম

করোনা সচেতনতায় লোহাগড়া থানা

করোনা সচেতনতায় লোহাগড়া থানা

নিউজ ডেস্ক ॥ করোনাভাইরাসের নানা ধরন রয়েছে। এর মধ্যে কোনো কোনোটি প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া নতুন করোনাভাইরাস তেমনই একটি ভাইরাস। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের সংক্রমণের বা কোভিড-১৯ রোগের কোনো টিকা আবিষ্কৃত হয়নি। এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যক্তিগত সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যমতে, নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পর লক্ষণ প্রকাশে সর্বোচ্চ ১৪ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। লক্ষণগুলো শুকনো কাশির সঙ্গে জ্বর, শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা ও মাংসপেশিতে ব্যথা। এ ক্ষেত্রে সংক্রমণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে। এরপর শুকনো কাশি হতে পারে, যার এক সপ্তাহের মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেয়।
যেকোনো ফ্লু-জাতীয় রোগের আনুষঙ্গিক রোগ যেমন কিডনি, হার্ট বা লিভার ফেইলিউর, আগে থেকেই অসুস্থ বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন ব্যক্তি, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, করোনা ভাইরাসে গর্ভবতী নারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। নতুন করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। এ ক্ষেত্রে প্রবীণদের মৃত্যুর হার বেশি, শিশুদেরও কম নয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যক্তিগত সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। ড়্রপলেট ইনফেকশন অর্থাৎ হাঁচি-কাশির মাধ্যমে রোগটি বেশি ছড়ায়। আক্রান্ত, সন্দেহজনক আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে না আসাই এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো প্রতিরোধ। নিজেকে নিরাপদ রাখতে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত যেকোনো ব্যক্তি থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলাই উত্তম। আক্রান্ত ব্যক্তি ও পরিচর্যাকারীর মুখে বিশেষ মাস্ক পরতে হবে। কখনোই নাক-মুখ না ঢেকে হাঁচি-কাশি দেবেন না। ব্যবহৃত টিস্যু বা রুমাল যথাযথ জায়গায় ফেলতে হবে।
বারবার সাবান-পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। যেসব বস্তুতে অনেক মানুষের স্পর্শ লাগে, যেমন সিঁড়ির রেলিং, দরজার নব, পানির কল, কম্পিউটারের মাউস বা ফোন, গাড়ির বা রিকশার হাতল ইত্যাদি ধরলে সঙ্গে সঙ্গে হাত পরিষ্কার করতে হবে। তার অংশ হিসেবে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ জসিমউদ্দিন পিপিএম (বার) জেলা সদরসহ সব কয়টি থানায় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি হ্যান্ড বেসিন স্থাপনসহ ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার সকালে লোহাগড়া থানায় দেখা যায়, থানা ভবনের আউটডোরে স্থাপন করা হয়েছে হ্যান্ড বেসিন, পাশে সাবান ও হ্যান্ড ওয়াশসহ স্যানিটাইজার। আগত সেবা প্রত্যাশিদের জন্য ব্যানারে লেখা আছে ‘হাত ধুয়ে সেবা নিতে আসুন’। পুলিশের এই সচেতনতা দেখে অনেকে প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি তারাও সচেতন হচ্ছেন।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আশিকুর রহমান বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সকলকে সরকার ঘোষিত নির্দেশ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email
basic-bank

Be the first to comment on "করোনা সচেতনতায় লোহাগড়া থানা"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*