নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী খুনে দুঃখপ্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের রেহাই দেওয়া হবে না।
সৌদি আরব সফররত শেখ হাসিনা সোমবার বিকালে মদিনায় হিলটন হোটেলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে সাক্ষাতে একথা বলেন।
জঙ্গিদমনে ভূমিকার জন্য প্রশংসিত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুকে রোববার চট্টগ্রামে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে উঠিয়ে দিতে বাসার কাছেই হামলার শিকার হন তিনি।
এই প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, “গত কয়েকদিন আগে চট্টগ্রামে অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা ঘটল- একজন পুলিশ অফিসারের স্ত্রী; তার তো কোনো দোষ নাই। বাচ্চাকে স্কুলে দিতে গিয়েছিল, বাচ্চার সামনে তাকে হত্যা করেছে।
“ইনশাআল্লাহ, এগুলি ধরা পড়বে। এটা আমি বলতে পারি, যারা অন্যায় করেছে তারা ধরা পড়বে। তাদের রেহাই আমরা দেব না।”
সন্ত্রাস, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার সব সময় দৃঢ় অবস্থানে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা চাই না বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটুক। তবুও বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। এটা অত্যন্ত কাপুরুষোচিত কিছু কাজ করে যাচ্ছে।”
এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য দৃশ্যত বিএনপি-জামায়াতের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে তিনি বলেন, “এর আগে জ্বালাও-পোড়াও করে মানুষ হত্যা করল। প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষকে পুড়িয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। গাড়িতে, বাসে, ট্রেনে, লঞ্চে আগুন দিয়ে মানুষকে পুড়িয়েছে। আর এখন হচ্ছে গুপ্তহত্যা।”
গত ফেব্রুয়ারিতে মুক্তমনা লেখক অভিজিৎ রায়কে হত্যার পর ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশে ব্লগার, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, হিন্দু-বৌদ্ধ-খিস্টান ও ভিন্ন মতাবলম্বী মুসলমান ধর্মীয় নেতা খুন হয়েছেন।
এসব হত্যাকাণ্ডের অনেকগুলোতে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস ও আল-কায়েদার নামে দায় স্বীকারের বার্তা এলেও সরকার তা নাকচ করে আসছে।
দেশীয় বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠী এসব হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে উঠে এসেছে।
বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে ওই সব গোষ্ঠীকে মদদ দেওয়ার অভিযোগ তুলে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনে ব্যর্থ হয়ে এখন তারা ‘গুপ্তহত্যার’ পথ বেছে নিয়েছে।
Be the first to comment on "খুনিদের রেহাই দেব না: প্রধানমন্ত্রী"