নিউজ ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তন নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। রেকর্ড অনুযায়ী ২০১৬ সাল ছিল উষ্ণতম বছর। আর এই তীব্র ও অস্বাভাবিক জলবায়ু অবস্থা ২০১৭ সালেও অব্যাহত থাকবে। গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ব আবহাওয়া সংক্রান্ত সংস্থা (ডব্লিউএমও) তাদের এক বিস্তৃত বৈশ্বিক বিশ্লেষণে এ দাবি করেছে। ডব্লিউএমও বলছে, বিশ্বব্যাপী অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বিরাজ করছে। যে কারণে দুই মেরুতে বরফ কমছে এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। খবর:বিবিসি ও গার্ডিয়ানের।
ডব্লিউএমও’র মূল্যায়নে বলা হয়েছে, মানুষের কর্মকাণ্ডে কার্বন নিঃসরণের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ছে। এর সঙ্গে শক্তিশালী এল নিনো (প্রাকৃতিক জলবায়ু চক্র) ২০১৬ সালে তাপমাত্রা বাড়িয়েছে। এল নিনো এখন দুর্বল হলেও আবহাওয়ার চরমভাবাপন্ন অবস্থা দেখা যাবে। গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড পরিমাণ তাপমাত্রা কমলেও মেরুতে উত্তপ্ত তাপমাত্রা বরফের স্তর নতুন করে কমিয়ে ফেলছে। গত অক্টোবর থেকে আর্কটিকের বরফের অবস্থা রেকর্ড পরিমাণ নিচে গিয়ে দাঁড়িয়েছে এবং তা ছয় মাস ধরেই বজায় রয়েছে। বৈশ্বিক সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ২০১৪ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এল নিনোর কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১৫ মিলিমিটার বেড়েছে।
ডব্লিউএমও’র বিশ্ব জলবায়ু গবেষণা কর্মসূচির পরিচালক ডেভিড কার্লসন বলেন, চলতি বছরে শক্তিশালী এল নিনো ছাড়াই পৃথিবীতে জলবায়ুর ক্ষেত্রে এক লক্ষ্যণীয় পরিবর্তন আমরা দেখতে যাচ্ছি। যা কিনা জলবায়ু ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের জ্ঞানের পরিধিকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে। আমরা সত্যিই এক অচিহ্নিত কর্মক্ষেত্রের মধ্যে রয়েছি। ডব্লিউএমও’র মহাসচিব পিতেরি তালাস বলেন, জলবায়ু সিস্টেমে অনান্য পরিবর্তনের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
ডব্লিউএমও’র মূল্যায়নে কিছু বিজ্ঞানী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনা করেছেন। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট অ্যাংলিয়া এবং জাতিসংঘের বিজআন প্যানেলের সাবেক প্রধান প্রফেসর স্যার রবার্ট ওয়াটসন বলেন, তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী মানুষের কর্মকাণ্ডের জন্য জলবায়ুতে প্রভাব পড়ছে, সেখানে ট্রাম্প প্রশাসন ও কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ রিপাবলিকান নেতারা বালির নিচে তাদের মাথা গুঁজে রাখছেন।
Be the first to comment on "জলবায়ু নিয়ে এক অচিহ্নিত চ্যালেঞ্জের মুখে বিশ্ব"