শিরোনাম

তিন বছর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ, চালুর তিন দিন পর আগুন

তিন বছর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ, চালুর তিন দিন পর আগুন

নিউজ ডেস্ক ॥ তিন বছর ধরে বন্ধ চট্টগ্রামের ৪৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতার তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র আবার চালু হয়ে গত রোববার উৎপাদনে গিয়েছিল। তিন দিনের মাথায় আগুন লেগে আবারও বন্ধ হয়ে গেছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২ নম্বর ইউনিটের ব্যাটারি কক্ষে বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে বলে জানিয়েছে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। বুধবার (৬আগষ্ট) বেলা সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রামের রাউজানের পাহাড়তলী ও রাংগুনিয়া সীমান্তে অবস্থিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় বিকেল ৫টার দিকে রাউজান ফায়ার সার্ভিসের একটি দল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।

বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (সংরক্ষণ) মুজিবুর রহমান সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, ব্যাটারি কক্ষে বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। খবর পেয়ে প্রথমে তাদের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। তারা দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর রোববার ওই ইউনিটে তারা ১৮০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছিলেন। এর মধ্যে দুর্ঘটনায় আবার বন্ধ হয়ে গেল কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ উৎপাদন।

বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, সম্পূর্ণ গ্যাসচালিত এই তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটের মধ্যে ২ নম্বর ইউনিট বন্ধ ছিল তিন বছর ধরে। অপর ১ নম্বর ইউনিটও ছয় মাস ধরে বন্ধ। এত দিন গ্যাসসংকট ও টারবাইন ব্লেড নষ্ট হওয়ায় এবং সরঞ্জামের সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছিল না। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটে উৎপাদন সক্ষমতা ২২০ মেগাওয়াট করে ৪৪০ মেগাওয়াট।

চট্টগ্রাম তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মুহাম্মদ আব্দুল জাহেদ বলেন, মূলত গ্যাসসংকট ও সরঞ্জাম নষ্ট হওয়ার কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির একটি ইউনিট তিন বছর এবং অপরটি ৬মাস ধরে বন্ধ ছিল। গত ৩ দিন আগে গ্যাস পাওয়ায় ও মেরামত হওয়ায় ২ নম্বর ইউনিট চালু করা হয়। কিন্তু ৩ দিনের মাথায় ব্যাটারি কক্ষে আগুন ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক ব্যাটারি বিস্ফোরণে পুড়ে গেছে। তবে বিস্তারিত ক্ষয়ক্ষতির হিসাব এখনো জানা যায়নি।

basic-bank

Be the first to comment on "তিন বছর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ, চালুর তিন দিন পর আগুন"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*