নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও মোটা রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে। তবে মৌসুমী সবজির দর স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ, মাংস আর মুরগির দাম।
শুক্রবার রাজধানীর মহাখালী, গুলশান, বাড্ডাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচাবাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় বেশির ভাগ গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম রয়েছে ক্রয়ক্ষমতার ভেতরই।
মৌসুম শেষ হলেও কাঁচা বাজারে রয়েছে প্রচুর টমেটো। প্রকার ভেদে এখনো টমাটোর মূল্য ১৫ থেকে ২৫ ঠাকা। মটরশুঁটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় আর পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা।
প্রতি কেজি সাদা আলু ১৮-২০ ও লাল আলু ২৫-৩০ টাকা, বেগুন ৩০-৪০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, শিম প্রকার ভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাজর ২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি প্রতি ২০ টাকা, বরবটি ৫০-৬০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০-৬০ টাকা, কচুরলতি ৫০-৫৫ টাকা, লেবু প্রতি হালি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি আঁটি লাউ শাক ২৫ টাকা, লাল শাক ও সবুজ শাক ১০ টাকা, পালং শাক ১০ টাকা, পুঁই শাক ১৫ টাকা ও ডাটা শাক ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দেশি পেঁয়াজ প্রকার বেধে কেজি প্রতি ৫ টাকা কমে ৩৫-৪০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৩২-৩৬ টাকা, দেশি রসুন কেজি প্রতি ৯৫ টাকা, মোটা রসুন ২০০ টাকা ও এক দানা রসুন ২১০ টাকা, আদা ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আগের সপ্তাহের দরেই গরু, খাসি ও ব্রয়লার মুরগির বিক্রি করছে বিক্রেতারা। গরুর মাংস প্রতি কেজি ৪২০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খাসি ৫৫০-৬০০ টাকা, কেজি প্রতি ব্রয়লার মুরগি ১৪০-১৫০ টাকা, কক মুরগি ২২০-২৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৩৩০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
রাজধানীর খুচরা মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি রুই ৩৬০-৪০০ টাকা, কাতলা ৪০০-৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০-২৫০, সিলভার কার্প ১৮০-২০০ টাকা, আইড় ৪৫০-৮০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৬০০-১৪০০ টাকা, পুঁটি ১৮০-২০০ টাকা, পোয়া ৪০০-৪৫০ টাকা, মলা ৩২০-৩০০ টাকা, পাবদা ৫০০-৬০০ টাকা, বোয়াল ৪৫০-৫০০ টাকা, শিং ৬০০-৮০০, দেশি মাগুর ৬৫০-৭০০ টাকা, শোল মাছ ৪০০-৬০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৪০-১৬০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০-২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ডিমের দামও অপরিবর্তিত রয়েছে। ফার্মের লাল ডিম প্রতি হালি ৩০-৩২ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিম ৫০ টাকা ও হাঁসের ডিম ৪০-৪২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর খোলাবাজারে লিটার প্রতি বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকায়।
বিক্রেতারা প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি করছে ৩৫-৩৮ টাকা দরে। এছাড়া মিনিকেট ৫০-৫৫ টাকা, নাজির শাইল ৫২-৫৮ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে ।
Be the first to comment on "দাম বেড়েছে রসুনের"