নিউজ ডেস্ক : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলার তেলকাড়া গ্রামের মৃত মুক্ত মোল্যার ছেলে শুকুর মোল্যাকে (৪৫) পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। শুক্রবার (৩০আগষ্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ধারালো অস্ত্র ও লাঠির আঘাতে বয়োবৃদ্ধ শুকুর মোল্যার পিঠে ও হাতের বাহুতে গভীর ক্ষত তৈরি হয়। এছাড়া শরীরের ৮০ শতাংশ স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় লোহাগড়া থানায় ৮ জনকে আসামী করে মামলা দাখিল করলেও রোববার বিকেল পর্যন্ত অদৃশ্য কারনে মামলাটি রেকর্ড হয়নি।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কোটাকোল ইউনিয়নের তেলকাড়া গ্রাম প্রায়ই মারপিটের ঘটনায় উত্তপ্ত থাকে। গ্রামে বিবাদমান দুটি গ্রুপ রয়েছে। একটির নিয়ন্ত্রন করে সৌদি প্রবাসী মিজান। অনেকে তাকে হেলিকপ্টার মিজান নামে ডেকে থাকেন। মিজান আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। অপর দিকে মোস্তাফিজুর রহমান বিএনপি’র রাজনীতি করে আসছেন। মোস্তাফিজ ব্যবসার কারনে এলাকা ছেড়ে তিনি দির্ঘদিন ঢাকায় বসবাস করছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আ’লীগের নেতা-কর্মীরা অনেকটা গুপ্তঘাতক রুপে আবির্ভূত হয়েছে। মোস্তাফিজুর সমর্থিত শুকুর মোল্যা গত ৩০ আগষ্ট পার্শ্ববর্তী মাউলী ইউনিয়নের ব্যাপারীপাড়ার নজু’র চায়ের দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে তেলকাড়া গ্রামের অংশে নবগঙ্গা নদীর বাঁধের ওপর পৌছলে তেলকাড়া গ্রামের আকুব্বর শিকদারের ছেলে নান্টু শিকদারের নেতৃত্বে একই গ্রামের ইব্রাহিম মোল্যার ছেলে নুর আলম মোল্যা, মৃত ইয়ার মোল্যার ছেলে রুবেল ও আজমল মোল্যা, মাহাবুল খন্দকারের ছেলে হাবিবুল্লাহ ও ইব্রাহিম খন্দকার, নান্টু শিকদারের ছেলে তাজমুল শিকদার ও মৃত সুরুজ শিকদারের ছেলে ঈমান শিকদারসহ অজ্ঞাত ৫ থেকে ৭জন শুকুর মোল্যার গতি রোধ করে বেধড়ক মারপিট করে গুরুত্বর জখম করে পালিয়ে যায়। মুমূর্ষ অবস্থায় স্থানীয়রা শুকুর মোল্যাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান রোগী আশংকামুক্ত হলেও ভর্তি রেখে চিকিৎসা চলছে।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘটনাস্থল লোহাগড়া থানার সীমান্তবর্তী নড়াগাতী থানার অর্ন্তগত হওয়ায় সংশ্লীষ্ট থানায় যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
Be the first to comment on "লোহাগড়ার তেলকাড়ায় বৃদ্ধকে পিটিয়ে জখম,মামলা নিতে ওসি’র গড়িমসি"