নিউজ ডেস্ক ॥ গ্রাম্য রাজনীতির মিথ্যা মামলায় হয়রানীর শিকার উপজেলার চালিঘাট গ্রামের মৃত মানিক মোল্যার ছেলে খায়রুজ্জামান ও স্থানীয় সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ গ্রামের সাধারণ মানুষ।
জানা যায়, মেসার্স শরীফ এন্টারপ্রাইজ এমভি সেতু-৭ জাহাজ চট্রগ্রাম মাষ্টার ইনচার্জ খায়রুজ্জামান। ঘটনার দিনে তিনি দায়ীত্বরত ছিলেন চট্রগ্রামের কর্ণফুলি নদীতে। সেখান থেকে ১০ জুন বিকাল তিনটার দিকে জাহাজের অফিসিয়াল কাজে তিনি আগ্রাবাদে যান। পথিমধ্যে তার জাতীয় পরিচয়পত্র ৪৬৩৮৪৬০৮৯১ হারিয়ে যায়। এ বিষয়ে চট্রগ্রাম বন্দর থানায় তিনি একটি সাধারন ডায়েরী (জিডি) করেছেন, যার নম্বর ৪১৯। থানায় হাজির থাকা অবস্থায় ওই দিন দুপুর দুইটার দিকে তিনি সংবাদ পান তার নিজ গ্রাম নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চালিঘাট গ্রামে গ্রাম্য দাঙ্গায় রফিক নামে একজন যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের পিতা সাইফুর রহমান বাদী হয়ে ১৪ জুলাই ৭৯ জনের নামে লোহাগড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং ১৪। খায়রুজ্জামান এজাহার নামীয় ৫৯ নং আসামী। ঘটনাস্থল থেকে তার কর্মস্থলের দুরত্ব ৫৮০ মাইল দুরে বলে জানান স্থানীয় সওজ কতৃপক্ষ। ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা থেকে অব্যহতি চেয়ে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, পুলিশ প্রধান, পিবিআই প্রধান ও নড়াইলের পুলিশ সুপারসহ গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে আবেদন করে।
খোজ-খরব নিয়ে আরও জানা যায়, গ্রাম্য দাঙ্গা প্রবণ এলাকা হিসেবে বেশ পরিচিত গন্ডব-চালিঘাট। এখানে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদমান দু’টি পক্ষ রয়েছে। একটির নেতৃত্বে রয়েছে মিরাজ মোল্যা,অপরটির ওই ইউপি’র সদস্য ছলেমান শেখ। মিরাজ মোল্যার নেপথ্যে রয়েছে কাশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান অপরটিতে নড়াইল জেলা পরিষদ সদস্য শেখ সুলতান মাহমুদ বিপ্লব। ছলেমান পক্ষীয় খায়রুজ্জামানের পরিবার। হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা থেকে রেহায় পাননি দু’জন অচল-অন্ধ মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্তত দশ গ্রামের ত্রিশ থেকে চল্লিশজন সাধারন মানুষ। ঘটনার তিন মাস আগে নিহত রফিক অস্ত্রসহ পুলিশের হাতে আটক হন। তখন ‘লোহাগড়ায় দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী রফিক অস্ত্রসহ গ্রেফতার’ শিরোনামে যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক গ্রামের কাগজে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় ওই সাংবাদিক শাহাজান সাজু’র নামেও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী অব্যহত রেখেছেন। মামলা থেকে বাদ পড়েনি ঢাকাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়–য়া শিক্ষার্থীসহ দশ থেকে পনেরজন সরকারী/বেসরকারী চাকুরীজীবি। মামলাটি বর্তমানে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোর তদন্ত করছেন।
উল্লেখ্য, উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের গন্ডব-চালিঘাট গ্রামে আধিপত্য বিস্তর নিয়ে প্রায় এক দশক ধরে বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে বিগত ২০২০ সালের ১০ জুন গ্রাম্য দাঙ্গায় (কাইজে) চালিঘাট গ্রামের রফিক শেখ নিহত হয়। এ ঘটনায় ৭৯ জনকে আসামী করে লোহাগড়া থানায় নিহতের পিতা বাদি হয়ে মামলা করেন।
লোহাগড়ায় রফিক হত্যা, ৫৮০মাইল দুরে থেকেও আসামী, অব্যহতি চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ে আবেদন

Be the first to comment on "লোহাগড়ায় রফিক হত্যা, ৫৮০মাইল দুরে থেকেও আসামী, অব্যহতি চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ে আবেদন"