নিউজ ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনের ভাস্কর্য অপরাজেয় বাংলার ভাস্কর সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ আর নেই।
শনিবার (২০ মে) রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ভাস্করের ছেলে সৈয়দ আবদুল্লাহ জহির এ তথ্য জানিয়েছেন।
হাঁপানিসহ বার্ধক্যজনিত রোগে গত ২ মে বারডেম হাসপাতালে ভর্তি হন আবদুল্লাহ খালিদ। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় গত বৃহস্পতিবার তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে শনিবার রাতে মারা যান তিনি।
জানা গেছে, ভাস্কর সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসের জটিলতায় ভুগছিলেন। বেশ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে ২ মে বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১০ মে থেকে সেখানে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সর্বশেষ তার কিডনি অকার্যকর হয়ে পড়েছিল।
ভাস্কর আবদুল্লাহ খালিদের মরদেহ বেলা ১১টায় শিল্পীর প্রিয় শিক্ষাঙ্গণ চারুকলা অনুষদে আনা হবে। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চারুকলা চত্বরে থাকবে তার মরদেহ। দুপুর ১২টায় তাকে নেওয়া হবে তার অমর সৃষ্টি অপরাজেয় বাংলার সামনে। সেখানে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পর্যন্ত তার মরদেহ রাখা হবে। তার পর বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
আবদুল্লাহ খালিদের বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী উম্মে কুলসুমসহ দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। এ বছর শিল্পকলায় (ভাস্কর্য) একুশে পদক পান গুণী এই ভাস্কর।
১৯৭৩ সালে অপরাজেয় বাংলা নির্মাণকাজ শুরু করেন আবদুল্লাহ খালিদ। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর মৌলবাদীদের বিরোধিতার কারণে নির্মাণকাজ বিলম্বিত হয়। নির্মাণকাজ শেষে ১৯৭৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর উদ্বোধন হয় অপরাজেয় বাংলা। এরপর আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অন্যতম প্রতীকে পরিণত হয় এই ভাস্কর্য।
অপরাজেয় বাংলার ভাস্কর খালিদ আর নেই

Be the first to comment on "অপরাজেয় বাংলার ভাস্কর খালিদ আর নেই"