বখতিয়ার, ভ্রাম্মমান প্রতিনিধি॥ পাইলটের বুদ্ধিমত্তার কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গেল ইউএস-বাংলার বিমানটি। প্রাণে বাঁচলো ১৭১ জন যাত্রী। এমন তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের সিভিল এভিয়েশন বিভাগের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সারওয়ার-ই-জাহান। তিনি বলেন, উড়োজাহাজটি চালাচ্ছিলেন ক্যাপ্টেন অবসরপ্রাপ্ত স্কোয়াড্রন লিডার জাকারিয়া। কক্সবাজারে পৌঁছে বিমানটির যখন চাকা খুলছিল না তখন আকাশে বারবার চক্কর দিয়ে তিনি এর জ্বালানি প্রায় শেষ করে ফেলেন। ফলে নিরাপদে জরুরি অবতরণ করতে পারে উড়োজাহাজটি। সারওয়ার-ই-জাহান বলেন, ফুয়েল নিয়ে জরুরি অবতরণ করলে উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। এতে প্রাণহানি ঘটতে পারতো বিমানের ভেতরে থাকা ৭ ক্রুসহ ১৭১ জন যাত্রীর। পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল কান্তি বড়ুয়া শাহ আমানত বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ফিরে এসে জানান, বিমানটি অবতরণের সময় একজন যাত্রী পায়ে সামান্য আঘাত পেয়েছেন। এ ছাড়া বাকিরা সুস্থ আছেন। তবে তারা আতঙ্কিত। যাত্রীদের নিরাপদে টার্মিনাল ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শাহ আমানত বিমানবন্দরের রানওয়ে সুপারভাইজার শওকত হোসেন বলেন, ১৬৪ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইউএস- বাংলার বিমানটি কক্সবাজার পৌঁছে। সেখানে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করলে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে সামনের চাকা বের হচ্ছিল না। ফলে বিমানটি শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে আসে। এর আগে আকাশে বার বার চক্কর দিয়ে বিমানের জ্বালানি প্রায় শেষ করে আনেন ক্যাপ্টেন। এরপর বিমানটি চরম ঝুঁকি নিয়ে শাহ আমানত বিমানবন্দরের রানওয়েতে অবতরণ করে। এরপর আশঙ্কা ছিল আগুন ধরার। তাই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা প্রস্তুত ছিল পুরোপুরি। অবতরণের সময় রানওয়েতে পানি ছিটানোয় অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয়নি।
Be the first to comment on "ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজের জরুরি অবতরণ ॥ পাইলটের দক্ষতায় প্রাণ রক্ষা ১৭১ যাত্রীর"