নিউজ ডেস্ক॥ জন্মদিনের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে চলে গেলেন তরুণ সাংবাদিক মামুনুর রশীদ (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার ( সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে দশটার দিকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেসরকারি টিভি চ্যানেল একুশে টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার মামুনুর রশীদ প্রধানমন্ত্রী বিটের দায়িত্বে ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন সাংবাদিকদের জানান, শরীর খারাপ লাগায় বিশ্রামের জন্য সোমবার দুপুরে ফার্মগেটে এক বন্ধুর বাসায় যান মামুন। সেখানে ওষুধ খেয়ে ঘুমাতে যান তিনি এবং তাকে ডাকতে নিষেধ করেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাতের খাবারের জন্য ডাকতে গেলে কোনো সাড়া না পেয়ে দ্রুত জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে আনা হয় মামুনকে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মামুনের মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে ভীড় করেন তার স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, সহকর্মী ও পরিচিতজনেরা। মঙ্গলবার (৪সেপ্টেম্বর) তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের তেলকাড়া পৌছায়। সেখানে অপেক্ষা করতে থাকেন প্রচুর সংখ্যক পুলিশ ও তার পরিবার পরিজন, আত্মীয়স্বজন, সাংবাদিক, স্থানীয়লোকজনসহ রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ। সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়। রাত সোয়া ৮টায় মামুনের বাড়িতে তার ৩য় নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। রাত সাড়ে ৮টায় তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। লোহাগড়ায় মামুনের লাশ পৌছানোর সংবাদ পেয়ে ছুটে আসেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ জসীম উদ্দিন (পিপিএম)। তিনি মামুনের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। এবং লাশের সাথে ঢাকা থেকে আগত সাংবাদিকসহ সুধিজনদের সংগে নিয়ে লোহাগড়া থানা অভ্যন্তরে রাতের খাবার খান।
মামুনের এই অকাল মৃত্যুতে লোহাগড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারন সম্পাদক শাহজাহান সাজুসহ ক্লাবের সকলে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
Be the first to comment on "একুশে টিভির সাংবাদিক মামুনুর রশীদের দাফন সম্পন্ন"