নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘ঐক্যবদ্ধ হলে সবে, যক্ষ্মা মুক্ত দেশ হবে’ এই স্লোগান সামনে রেখে ২৪ মার্চ (বৃহস্পতিবার) পালিত হবে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছরের মত এবারও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সারা দেশে দিবসটি পালন করা হবে।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস-২০১৬ উপলক্ষে জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ বেসরকারি সহযোগী সংগঠনের এক যৌথ সংবাদ সম্মেলন থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৬ হাজার যক্ষ্মা রোগী মারা যাচ্ছে, সারাবিশ্বে এ সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। যক্ষায় নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে শতকরা ৯৫% ভাগের বেশি মৃত্যু হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপ মতে অন্য দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের যক্ষ্মা প্রতিরোধ ও নিরাময় কার্যক্রম বেশ সন্তুষজনক। ২০৩৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা মুক্ত বাংলদেশ গড়ার জন্য এম্বিসাস টার্গেটের মাধ্যেমে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
২০১৫ সালে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির মাধ্যমে ২,০৬,৯১৯ জন যক্ষা রোগী শনাক্ত করা ও চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। এর মধ্যে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু রোগীদের সংখ্যা ৮,১০৩ জন। বাংলাদেশে ২০১৪ সালে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির মাধ্যমে শনাক্তকৃত কাঁশিতে যক্ষ্মা জীবাণুযুক্ত রোগীর চিকিৎসার সাফল্যের হার ৯৪ শতাংশ।
জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ড. মো. কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সহকারী পরিচালক ড. মো আশরাফ উদ্দিন।
এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন, যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির কনসালটেন্ট ড. মজিবুর রহমান, উপদেষ্টা ড. আব্দুল হামিদ সেলিম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) প্রতিনিধি ড. জয়ন্ত বেইঞ্জ, জাহেদুল ইসলাম প্রমুখ।
Be the first to comment on "`ঐক্যবদ্ধ হলে সবে, যক্ষ্মা মুক্ত দেশ হবে’"