নিউজ ডেস্ক : ব্রাহ্মণবড়িয়ার কসবা উপজেলার কুটি চৌমুহনী এলাকায় গতকাল বুধবার গভীর রাতে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে তাজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তার বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার নবীনগর উপজেলার সাদুল্লাপুর গ্রামে। তিনি কসবায় ‘মামা হুজুর’ হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি কসবায় এক কবিরাজ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার নাম আলোচনায় আসে।
পুলিশের অভিযোগ, জঙ্গি হামলার প্রস্তুতির খবর পেয়ে অভিযানে গেলে তাদের ওপর হামলা হয়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ পাল্টা গুলি ছোড়ে। মামা হুজুর একজন জঙ্গি। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নাম আসার পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে চলে যান। পুলিশের দাবি, নিজ দলের সদস্যদের গুলিতেই তাজুল ইসলাম নিহত হয়েছেন। হামলায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ৩৫টি ককটেল, পাঁচটি চাপাতি, একটি পাইপ গান, ৯টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। লাশ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
কসবা থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন কালের কণ্ঠকে জানান, জঙ্গি হামলার প্রস্তুতির খবর পেয়ে রাত পৌনে ১টার দিকে পুলিশ কুটি চৌমুহনী এলাকায় যায়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ও গুলি ছোড়া হয়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ১২ রাউন্ড গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় নিজ দলের সদস্যদের গুলিতেই তাজুল ইসলাম নিহত হন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে কসবা উপজেলার কাইয়ুমপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে কবিরাজ হিসেবে পরিচিত ফরিদ মিয়ার (৪৭) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ২৪ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জহির মিয়া নামের এক ব্যক্তি জানান, ধর্ষণ, প্রতারণা ঠেকিয়ে বেহেস্তে যেতে কথিত মামা হুজুরের (নিহত ব্যক্তি) নির্দেশে ফরিদ মিয়াকে হত্যা করেন তিনি।
Be the first to comment on "কসবায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে ‘মামা হুজুর’ নিহত"