নিউজ ডেস্ক : কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনকে ঘিরে ক্ষমতাসীনদের অশুভ ইচ্ছার আভাস ফুটে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোটকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েকদিন ধরে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যাপক অনিয়ম ও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের সুষ্পষ্ট অভিযোগ থাকলেও স্থানীয় প্রশাসন ও রিটানিং কর্মকর্তা কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এমনকি সেখানকার নির্বাচনী পরিবেশ এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যের মধ্যে কোনো মিল নেই। অথচ কুসিক এলাকার বর্ধিত ৯টি ওয়ার্ডে প্রশাসনের ছত্রছায়ায় সন্ত্রাসীরা এতোটাই বেপরোয়া যে, সেখানকার সাধারণ ভোটারসহ বিএনপি সমর্থক ও নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।’
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, ‘কুসিক নির্বাচন নিয়ে বিএনপি আগে থেকে কিছু বলেনি। ভেতরের অবস্থা কি ছিল, জানি না। কিন্তু যখন সরকার ও সরকারি দলের তাণ্ডব, সহিংস সন্ত্রাস, ধানের শীষের মিছিলে ধাওয়া, পোষ্টার, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার মত ঘটনা ঘটছে তখন আমরা (বিএনপি) আশঙ্কা করছি কুসিক নির্বাচন ঘিরে এক ধরনের অশুভ ইচ্ছা আছে সরকার ও সরকারি দলের। সেজন্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান যেভাবে স্বাধীনভাবে কাজ করার কথা তা করছে না।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপির তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল সোমবার (২৭ মার্চ) প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাত করে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ লিখিত আকারে দিয়েছে। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন এই বলে যে, কুমিল্লা সিটি নির্বাচনকে ঘিরে কোনো ধরনের অনাচার হবে না এবং নির্বাচনী আচরণ ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে প্রমাণ সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। তাই আমরা পরিস্কার করে বলছি, যদি তিনি (সিইসি) কুসিক নির্বাচনের সুষ্ঠুতা ও নিরপেক্ষা নিশ্চিত করতে না পারেন, ব্যর্থ হয়, তখন আমাদের পক্ষে যে দাবি থাকবে তা পরবর্তীতে জানানো হবে। তবুও আমরা (বিএনপি) আশা করবো কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট প্রদানের পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘চীনের কাছ থেকে দুটি সাবমেরিন কিনে প্রধানমন্ত্রী এখন বিপাকে। ভারত এখন শেখ হাসিনার ওপর থেকে চীনের প্রভাব কাটাতেই প্রতিরক্ষা চুক্তিকরার জন্য পীড়াপীড়ি করছে। তারা যে নাছোড়বান্দার মতো তার স্বার্থের অনুকুল কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা চুক্তিটি নিশ্চিত করতে চায়, এই বাধ্যবাধকতার মধ্যে আটকে পড়তে হবে তা প্রধানমন্ত্রী পূর্বে অনুমান করতে পারেননি। তাই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করতে ‘সুপার হিউম্যান স্পিডে’ এগিয়ে যাচ্ছেন।’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রিজভী বলেন, ‘দয়া করে আপনি বাংলাদেশকে কাশ্মীর বানাবেন না। নিজের ক্ষমতায় থাকার স্বপ্নসাধকে বাস্তবায়ন করতে গিয়ে প্রতিরক্ষা চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যকে ভারতের জিম্মায় তুলে দিবেন না।’
বাংলাদেশের সাথে ভারতের প্রতিরক্ষা চুক্তি হবে বাংলাদেশকে উপনিবেশ বানানোর এক সুদুরপ্রসারী অশুভ পরিকল্পনার অংশ বলে মন্তব্য করেন রিজভী।
Be the first to comment on "‘কুসিকে ক্ষমতাসীনদের অশুভ ইচ্ছার আভাস ফুটে উঠেছে’"