নিউজ ডেস্ক : আগামী ঈদুল আযহা পর্যন্ত হাজারীবাগে থাকতে চেয়ে ট্যানারি মালিকদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। দুই দিনের শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। মঙ্গলবার শুনানি শুরু হয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। হাজারীবাগে থাকা ট্যানারিগুলো সাভারে সরাতে আরও তিন মাস সময় বাড়ানো হয়েছে- এমন খবর যুক্ত করে গত জানুয়ারিতে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) হাইকোর্টে আবেদন করে। এতে সাভারে স্থানান্তরিত না হওয়া পর্যন্ত হাজারীবাগে থাকা ট্যানারি কারখানাগুলোর বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
আদালত এ বিষয়ে জানতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার নিচে নন, এমন একজন কর্মকর্তাকে তলব করেন। পরে কর্মকর্তা এসে হাইকোর্টে এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। এরপর গত ৬ মার্চ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ হাজারীবাগে থাকা ট্যানারিগুলো বন্ধের আদেশ দেন। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন বাংলাদেশ ফিনিশড লেদারের চেয়ারম্যান। আপিল বিভাগের শুনানিতে ফজলে নূর তাপস বলেন, এখনও আমাদের ক্ষতিপূরণের সব টাকা দেওয়া হয়নি। এখানে অনেক মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। অন্তত জুন মাস পর্যন্ত সময় দেন। গত ১২ মার্চ রবিবার ট্যানারি মালিকদের করা আবেদন খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
এরপর মালিকরা হাইকোর্টের ৬ মার্চের আদেশ মডিফিকেশন চেয়ে আবেদন জানান। আবেদনে ঈদুল আযহা পর্যন্ত হাজারীবাগে থাকার সুযোগ চান। গত ৬ মার্চ রিজওয়ানা হাসান বলেছিলেন, সর্বশেষ ২০১০ সালের অক্টোবরে ছয় মাস সময় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সে অনুসারে ২০১১ সালের ৩০ এপ্রিলের পর হাজারীবাগে ট্যানারি চালানোর অনুমোদন নেই। এরপরও সরকার চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় দেন। এ সময় দেওয়ার ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি নেওয়া হয়নি। এ কারণে গত জানুয়ারিতে আদালতে আবেদন করেছি।
Be the first to comment on "কোরবানি পর্যন্ত হাজারীবাগে থাকতে দেওয়ার আবেদন খারিজ"