নিউজ ডেস্ক : চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ট্রাকের সঙ্গে ভটভটির (স্থানীয় নাম আলমসাধু) সংঘর্ষে ১৩ জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে ঘটনাস্থলেই ৯ জন নিহত হয়েছেন। আহতদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার (২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে জয়রামপুরে চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- দামুড়হুদা উপজেলার বড় বলদিয়া গ্রামের মরহুম রহিম বক্সের ছেলে আব্দার আলী (৪৫), মরহুম ঠান্ডু মন্ডলের ছেলে বিল্লাল (৪২), মরহুম ইন্নালের ছেলে আবু বকর (৫৫), গোলামের ছেলে ইজ্জত আলী (৫৫), মরহুম কিতাব আলীর ছেলে নাজিম উদ্দীন (৬০) গাজি মালিতার ছেলে শান্ত (২৩) মরহুম বাবলুর রহমানের ছেলে হাফিজুর রহমান (৩৫) ও লিয়াকত আলীর ছেলে শাহিন (২৫), সুলতানপুর গ্রামের মরহুম ভোলাই মন্ডলের ছেলে বিল্লাল (৪৫), রমজান আলীর ছেলে রফিকুল (৫০), মরহুম কানাই মন্ডলের ছেলে লাল মোহাম্মদ (৪৫), ফিরোজের ছেলে শফিকুল (২৫) ও খোদা বক্সের ছেলে জজ (২৮)।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী বারিকুল ইসলাম জানান, চুয়াডাঙ্গা থেকে বালি বোঝাই একটি ট্রাক (চুয়াডাঙ্গা-ট-১১-০৫৮৮) দর্শনার দিকে যাচ্ছিল। দামুড়হুদার উপজেলার বড়বলদিয়া গ্রাম থেকে ২৩ জন মাটি কাটা শ্রমিক নিয়ে ভটভটিটি (আলমসাধু) চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সীগঞ্জে আসছিল। পথিমধ্যে জয়রামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ট্রাক ও ভটভটিটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ট্রাকের চালক চোখে ঘুম নিয়ে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন বলেও জানান তিনি।
চুয়াডাঙ্গার সহকারী পুলিশ সুপার কলিম উল্লাহ জানান, ঘটনাস্থলেই ৯ জন মারা যায়। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তির পর ২ জন, দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজন মারা যান। কি কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
Be the first to comment on "চুয়াডাঙ্গায় ট্রাক-ভটভটি সংঘর্ষে নিহত ১৩"