নিউজ ডেস্ক : চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা সড়কের ঘোড়ামারা ব্রিজের অদূরে সড়কে গাছ ফেলে ঢাকাগামী তিনটি নৈশকোচসহ অন্তত ২৫টি গাড়িতে লুটপাট চালিয়েছে ডাকাতরা। এ সময় ডাকাতদের হামলায় আহত হয়েছে তিনজন। রবিবর (১৯ মার্চ) রাত ৯টার দিকে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আলমডাঙ্গা থেকে ঢাকাগামী রয়েল এক্সপ্রেস পরিবহনটি চুয়াডাঙ্গা আসার সময় ঘোড়ামার ব্রিজের অদূরে ডাকাতির কবলে পড়ে। ডাকাতদল সড়কের পাশের গাছ ফেলে ব্যারিকেড দিয়ে গাড়ি চালককে জিম্মি করে যাত্রীদের সর্বস্ব লুটে নেয়। একইভাবে ঢাকাগামী চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহন, পূর্বাশা পরিবহন, ট্রাক, মাইক্রোবাস ও পিকআপ ভ্যানসহ ২৫টি যানবাহনে লুটতরাজ চালায় ডাকাতদল।
ডাকাতির কবলে পড়া মাইক্রোবাসের যাত্রী সুভাষ চ্যাটার্জি জানায়, কুষ্টিয়া থেকে ফেরার পথে ডাকাতের কবলে পড়েন তারা। এ সময় গাড়িতে থাকা তার স্ত্রী, বোন, মাসহ তাদের শরীরে থাকা স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা লুট করে ডাকাতরা।
রয়েল এক্সপ্রেসের যাত্রী আমজাদ হোসেন জানান, সাত থেকে আটজন ডাকাত মুখবাঁধা অবস্থায় ডাকাতিতে অংশ নেয়। তাদের হাতে এ সময় ধারালো অস্ত্র ছিল। ডাকাতরা রয়েল পরিবহনের চালক শামীম হোসেন ও একটি ট্রাকের হেলপার আব্দুল হামিদসহ তিনজনকে পিটিয়ে আহত করেছে।
রয়েল পরিবহনের চালক শামীম হোসেন অভিযোগ করেন, প্রতিদিন ঘোড়ামার ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় পুলিশের একটি টহল গাড়ি থাকার কথা থাকলেও ডাকাতির সময় কোনো পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে ছিল না। আর এ কারণেই প্রায় আধাঘণ্টা ধরে ডাকাতরা নির্বিঘ্নে তাণ্ডব চালায়।
চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম ডাকাতির শিকার যানবাহনের সংখ্যা নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করে জানান, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Be the first to comment on "চুয়াডাঙ্গায় নৈশকোচসহ ২৫ গাড়িতে গণডাকাতি"