নিউজ ডেস্ক॥ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের কুচিয়াবাড়ি গ্রামের ৫ সন্তানের জননী এবং প্রায় শতবর্ষী উজলা বেগমকে বুধবার (২৬ সেপ্টম্বর) গভীর রাতে তার সন্তানরা বাড়ির অদুরে রাস্তার পাশের একটি জঙ্গলে ফেলে দেয়। বৃহস্পতিবার সকালে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে ছেলে ডাকু শেখ’র বাড়িতে পৌছে দেন স্থানীয়রা ।
সরজমিন জানা গেছে, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বৃদ্ধার স্বামী ছামাদ শেখ মারা যান। অনেক কষ্টের মধ্যেই ৩ ছেলে ও দুই মেয়েকে বড় করেছেন তিনি। ছেলে ডাকু শেখ, বাবু শেখ, রাবু শেখ, মেয়ে কুলসুম বেগম ও চায়না বেগম, সকলেই বিয়ে করে সকলে আলাদা বসবাস করলেও মেয়ে দু’টি স্বামী পরিত্যাক্ত। বৃদ্ধ মায়ের দায়িত্ব কোন ছেলেসন্তান নিতে না চাওয়ায় বৃদ্ধাকে রাতের আধারে বাড়ির অদুরে বাশঁ বাগানের জঙ্গলে ফেলে দেয় ছেলেরা। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বড় ছেলে ডাকু শেখ’র বাড়িতে রেখেছেন। বৃদ্ধার স্বামী মারা গেছে প্রায় ৪০ বছর আগে। অনেক কষ্টের মধ্যেই সন্তানদেরকে মানুষ করেছেন তিনি। বার্ধক্য জনিত নানাবিধ রোগে অক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন বিছানায় পড়ে থাকায় সন্তানদের কাছে বোঝা হয়ে দাড়িয়েছেন বৃদ্ধা। তিন ছেলে আলাদা সংসার থাকলেও সব ছেলে নারাজ মায়ের খাবার ও সেবা দিতে। সে কারনে মৃত্যু কামনায় রাতের আধারে রাস্তার পাশে জঙ্গলের ভিতরে ফেলে আসে বৃদ্ধ মাকে। পরে সকালে স্থানীরা বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তার বড় ছেলে ডাকুর দায়ীত্বে রেখে আসেন। বারান্দায় প্রায় অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন তিনি। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কাজী বনি আমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জরুরি কাজে ঢাকায় রয়েছেন এলাকায় পৌছে বিষয়টি দেখবো।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সহিত সমম্ময় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Be the first to comment on "জঙ্গলে শতবর্ষী বৃদ্ধ মায়ের স্থান"