নিউজ ডেস্ক : প্রশ্নের যথাযথ জবাব না পেয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উপহাস করলেন জার্মান সাংবাদিকরা। শনিবার হোয়াইট হাউজের ইস্ট রুমে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে ট্রাম্পকে উপহাস করেন তারা। দ্য ডেইলি বিস্ট পত্রিকার অনলাইনে প্রকাশিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, শনিবার হোয়াইট হাউজে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেলের সাক্ষাৎকে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের সুযোগ বলে ধারণা করা হতো। কিন্তু দুই নেতার মুখোমুখি সাক্ষাৎ একটি শুদ্ধি অনুশীলন ছিল মাত্র।
ওই সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বাণিজ্য ও অবৈধ অভিবাসন সম্পর্কে জার্মান সাংবাদিকদের অনেক প্রশ্নের সরাসরি কোনো জবাব দেননি। তবে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেল তার অবস্থানে অটল ছিলেন। বক্তব্যের শুরুতেই মেরকেল ডোনাল্ড ট্রাম্পের আতিথিয়েতার প্রশংসা করেন। গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের আগে বিশ্ব এ দুই নেতা নিজেদের সম্পর্কে কথা না বলে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। পোডিয়ামে দাঁড়ানোর পর ট্রাম্পকে অস্থির ও বেপরোয়া দেখাচ্ছিল। এ সময় জার্মান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি ক্ষেপে যান।
প্রথমে মেরকেলের কাছে ট্রাম্পের ‘বিপজ্জনক পৃথকীকরণ পলিসি’র বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়। পরে ট্রাম্পের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান, কেন আপনি গণমাধ্যমের বহুমুখীকরণে ভয় পান?
এ সময় ট্রাম্প তার বাম দিকে বন্ধু ও পরিবার অংশের দিকে তাকিয়ে বলে ওঠেন ‘নাইস ফ্রেন্ডলি রিপোর্টার’। ট্রাম্পের বাম পাশে ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্স, স্টিভ বেনন, জারেড কুশনার এবং ইভানকা ট্রাম্প উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ট্রাম্প বলেন, ‘আমি কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী নই। তবে আমি একজন স্বাধীন ও সৎ ব্যবসায়ী। ‘
তিনি আরও বলেন, ‘আমি জানি না আপনি কোন সংবাদপত্র পড়েন? কিন্তু এটা ভুয়া খবরের আরেকটি উদাহরণ হতে পারে। ‘ এ সময় সাংবাদিকদের অংশ থেকে হাসির শব্দ শোনা যায়।
পরে এক মার্কিন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘জার্মানির মধ্যস্থতাকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীদের চেয়ে ভালো কাজ করে। আমরা বিজয় চাই না, আমরা স্বচ্ছতা চাই। ‘
ট্রাম্প নাফটা চুক্তিকে ভয়ংকর উল্লেখ করে বলেন, শ্রমিকরা ‘মাতাল’। সম্ভব এ কারণে আমি এখানে এসেছি।
Be the first to comment on "ট্রাম্পকে উপহাস জার্মান সাংবাদিকদের"