নিউজ ডেস্ক : উত্তর গোলার্ধে বাংলাদেশের উপর দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা বরাবর সূর্য রশ্মি পড়ায় অধিক তাপমাত্রা বিরাজ করছে। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ১-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। সূর্য কিছুটা সরে গেলে তাপমাত্রা কমবে। তবে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও তিন থেকে চার দিন। আবহাওয়া অফিস বলছে, ঢাকায় মঙ্গলবার মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টির দেখা মিলবে ২৬ মের পর। তবে অধিক বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতে হবে জুন পর্যন্ত। আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা জানান, জিরো ডিগ্রিতে অবস্থিত নিরক্ষরেখার পাশাপাশি দুটি রেখা- একটি কর্কটক্রান্তি, যা উপরে। নিচে মকরক্রান্তি রেখা। মৌসুমের এই সময় উত্তর গোলার্ধে সাড়ে ২৩ ডিগ্রি বরাবর সূর্য উঠানামা করে। কর্কটক্রান্তি রেখা কুমিল্লার উপর দিয়ে গেছে। সূর্য এর উপর দিয়ে যাচ্ছে, এজন্য বাংলাদেশের তাপমাত্রা বেশি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ বলেন, ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশে মার্চ-জুন মাসে দিনের দৈর্ঘ্য সব থেকে বেশি। এসময় সূর্য খাড়াভাবে আলো দেয়। আকাশে সূর্যের আলোর আধিক্যের কারণ ছাড়াও মেঘমুক্ত আকাশে তাপমাত্রা বেশি থাকে। এছাড়া ২৭ বা ২৮ মের দিকে ঢাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমে গেলে ওই সময়ে স্বস্তি মিলবে। বাতাসে আদ্রতার উপরও শরীরের তাপমাত্রা নির্ভর করে। অর্থাৎ আদ্রতা বেশি থাকলে গরমও বেশি অনুভব হয় বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ। তিনি জানান, দুপুরে বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ ছিল ৫৬ শতাংশ, সকালে ৭৪ শতাংশ। সন্ধ্যায় তা আরও বেড়েছে। আদ্রতা বেশি থাকলে গরম বেশি হয়। ঢাকায় এদিন মৌসুমের সর্বোচ্চ ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, চাঁদপুর ও নোয়াখালী অঞ্চলসহ ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। তাপপ্রবাহ ২৬ মে বা তার কাছাকাছি সময় পর্যন্ত চলবে। এরপরও মেঘমালা তৈরি হলে বৃষ্টি নামবে। এছাড়া দেশের অন্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার (দুই দিন) আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
Be the first to comment on "ঢাকায় রেকর্ড তাপমাত্রা, বৃষ্টির অপেক্ষা আরও ৩-৪ দিন"