নিউজ ডেস্ক : সিলেটে ছাত্রলীগ নেতার হামলায় আহত কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসের মাথায় ফের অস্ত্রোপচার করা হবে। ক্রেনিওপ্লাস্টি বোন ফ্ল্যাপ রিপ্লেস অর্থাৎ মাথার খুলির ক্ষত বা বিকৃতি ঠিক করতে এ অস্ত্রোপচার করা হয়। স্কয়ার হাসপাতালের নিউরো সার্জারির অ্যাসোসিয়েট কনসালটেন্ট ডা. এ এম রেজাউস সাত্তার এ কথা জানিয়েছেন। এ ছাড়া নার্গিস কতটা স্বাভাবিক ও সুস্থ হতে পারবে সেটি বুঝতে তাকে কমপক্ষে তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখবেন চিকিৎসকরা। ৩ অক্টোবর সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের (ডিগ্রি) ছাত্রী নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলম।
প্রথমে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাকে স্কয়ার হাসপাতালে আনা হয়। ৪ অক্টোবর খাদিজার মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। ১৭ অক্টোবর তার ডান হাতে অস্ত্রোপচার হয়। ফের মাথায় অস্ত্রোপচার প্রসঙ্গে ডা. রেজাউস সাত্তার বলেন, ২-৩ সপ্তাহ পর আমরা নার্গিসের মাথায় আরেকটা অপারেশনের করবো। নতুন করে মাথার খুলির বোন রিপ্লেস করবো। নার্গিস মাথায় কতটা আঘাত পেয়েছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথম যখন আসলো তখন মস্তিষ্কের ডান পাশে আঘাত ছিল। এ জন্য আমরা ডান পাশে অপারেশন করেছিলাম। প্রাথমিকভাবে বোঝা যায়নি কতগুলো কোপ মাথায় লেগেছে। তার মাথায় ১৫টির বেশি কোপ লেগেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রথম দিন নার্গিসকে জরুরি বিভাগে আনার পরপরই সে ভেন্টিলেশনে ছিল। আমরা তার মাথার ডান পাশে অপারেশন করলাম। অপারেশন করতে গিয়ে দেখলাম তার মাথার হাড় ভেঙে গেছে, রক্ত জমাট বেঁধে আছে। সেগুলো পরিষ্কার করা হল। হাত দিয়ে আঘাত ঠেকানোর কারণে দুই হাতেও আঘাত ছিল। নার্গিস ইনিশিয়ালি সারভাইভ করার পর কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা খুলে দেওয়া হয় এবং তাকে কেবিনে আনা হয়। ডান হাতের অপারেশন হয়েছে, বাম হাতেও হবে।
২৬ অক্টোবর বুধবার রাতে নার্গিসকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। তার বাবা মাশুক মিয়া বলেন, বামপাশে হাত-পা আগে একবারে অবশ ছিল। এখন বাম পায়ে স্পর্শ করলে একটু করে নাড়ায়। তবে বাম হাতে এখনও কোনো নড়াচড়া চোখে পড়েনি। খাদিজাকে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুয়ায়ী নরম খাবার খাওয়ানো হচ্ছে বলে জানান তিনি। বলেন, জেলো, পুডিং, স্যুপ খাওয়ানো হচ্ছে। এ ছাড়াও খাদিজা কথা বলতে পারছে। তবে কখনও কখনও অসংলগ্ন কথা বলে।
Be the first to comment on "নার্গিসের মাথায় ফের অস্ত্রোপচার করা হবে"