নিউজ ডেস্ক॥ নড়াইল শহরে মটরসাইকেল চোরের দৌরাত্ব বেড়েছে। শহরে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিনিয়ত মটরসাইকেল চুরি হচ্ছে। দিনে দুপুরে শররের বিভিন্ন এলাকা থেকে গত এক মাসে অন্তত ২৫টি মটরসাইকেল চুরি হলেও একটিও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। নড়াইলে চমর আতংকে রয়েছে মটরসাইকেল মালিক ও চালকরা। সুত্রে জানা গেছে, শহরের রুপগঞ্জ, নড়াইল সদর হাসপাতাল, বিদুৎ অফিস, মহিষখোলা ও ভওয়াখালী এলাকা থেকে গত এক মাসের মধ্যে ২৫টিরও অধিক মটরসাইকেল চুরি হয়েছে। বেশির ভাগ মটরসাইকেই দিনে দুপুরে বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া কয়েকটি সটরসাইকেল বাড়ির গ্রিল ভেঙ্গে রাতের বেলায় চুরি হয়েছে। কয়েকজন মটরসাইকেল মালিক এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানায় সাধারন ডায়েরী করলেও একটি মটরসাইকেলও উন্ধার করতে পারেনি পুলিশ। সিসি ক্যামেরা ভিডিও ফুটেজে চোরকে দেখা গেলেও ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে গেছে এই সিন্ডিকেট।
সুত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি নড়াইল রুপগঞ্জ এলাকা থেকে দুপুরে একটি ১২৫ সিসি ডিসকভার মটরসাইকেল চুরি হয়েছে ইসলামী ব্যাংক নড়াইল শাখার এক কর্মকর্তা কামরুজ্জামানের । এর আগে দুপুর ১২টার দিকে চুরি হয় ওয়ার্ল্ড ফিস কর্মকর্তা মামুনুর রহমানের হিরো হোন্ডা ১০০ সিসি মটরসাইকেল। নড়াইল সদর হাসপাতালের সামনে থেকে বেলা ১২টার দিকে এ্যাপাসি ১৫০ সিসি একটি নতুন মটরসাইকেল চুরি হয়েছে। আউড়িয়া ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আ’লীগ নেতা পলাশ মোল্লার। তার আগে শহরের পুরাতন বাসটার্মিনাল এলাকা থেকে ১২৫ সিসি ডিসকভার মটরসাইকেল চুরি হয়েছে সাজ্জাদ নামে এক সরকারী কর্মচারীর। বিদুৎ অফিসের মধ্যে থেকে চুরি হয়েছে ছাত্রলীগ নেতা কামরুলের ডিসকভার ১০০ সিসি মটরসাইকেল। শহরের ভওয়াখালী এলাকা থেকে চুরি হয়েছে আ’লীগ নেতা সাবেক পৌর মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) মোস্তফা কামালের পালসার ১৫০ সিসি মটরসাইকেল। এর আগে একই এলাকা থেকে চুরি হয়েছে পৌর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আলমগীর হোসেন’র পালসার ১৫০ সিসি মটরসাইকেল। একই সময়ে ভওয়াখালী এলাকা থেকে চুরি হয়েছে সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম উজ্জ্বল এর বাড়ি থেকে চুরি হয়েচে ২টি (একটি হ্যাংক ১৫০ সিসি ও একটি গ্লামার) মটরসাইকেল। সম্প্রতি শহরের মহিষখোলা এলাকা থেতে চুরি হয়েছে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মুন্সি আসাদুজ্জামান দিপুর একটি পালসার ১৫০ সিসি মটরসাইকেল। এছাড়া শহরে বিভিন্ন স্থান থেকে এক মাসের ব্যবধানে অন্তত ২৫ টি মটরসাইকেল চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। চুরি হওয়া মটরসাইকেল মালিকরা জানান, দিনের বেলা দৈনন্দিন কাজ করার জন্য শহরে বিভিন্ন জায়গায় মটরসাইকেল রাখার ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যই তাদের মটরসাইকেল চুরি হয়েছে। কয়েকটি বাড়ি থেকে রাতে গ্রিল কেটে চুরিও হয়েছে। এলাকায় অনেক খোজাখুজি করার পরও কোন মটরসাইকেল পাওয়া যায়নি। এসব বিষয়ে নড়াইল সদর থানায় সাধারন ডায়েরী করলেও একটা মটরসাইকেলেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ প্রশাসন।
ইসলামী ব্যাংক নড়াইল শাখার কর্মকর্তা কামরুজ্জামান জানান, প্রতিদিনের ন্যায় ইসলামী ব্যাংকের নিচে নির্দৃষ্ট স্থানে মটরসাইকেল রেখে অফিস শেষ করে এসে দেখি মটরসাইকেল নাই। বিভিন্ন এলাকায় খোজাখুজি করেছি কিন্তু কোন সন্ধান পায়নি। সদর থানায় সাধারন ডায়েরী করেছি। পুলিশ এখনও সাইকেলটি উদ্ধার করতে পারেনি।
মটরসাইকেল মালিকরা জানান, দিনে-দুপুরে যেভাবে শহর থেকে মটরসাইকেল চুরি হচ্ছে এনিয়ে তারা অনেক আতংকের মধ্যে রয়েছে। আউড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা পলাশ মোল্যা বলেন, দিনের বেলায় সদর হাসপাতালের মধ্যে থেকে ৫ মিনিটের মধ্যে তার ২ লক্ষাধীক টাকার দামে একটি মটরসাইকেল চুরি হয়েছে। সিসি ক্যামেরায় ভিডিও ফুটেজ থাকলেও আজ পর্যনÍ চোরকে আটক করতে পারেনি। এমনকি গাড়িটিও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন খান জানান, বিভিন্ন স্থান থেকে চুরি হয়ে যাওয়া মটরসাইকেল উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। অল্প দিনের মধ্যে মটরসাইকেল চোর আটক করা হবে। শহরে আইন শৃংখলা স¦াভাবিক আছে দাবী করে তিনি আরও বলেন, শহর থেকে আর কোন মটরসাইকেল যাতে চুরি হতে না পারে সে ব্যাপারে পুলিশ সর্তক রয়েছে।
Be the first to comment on "নড়াইলে বেপরোয়া মটরসাইকেল চোর"