নিউজ ডেস্ক : সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন নিহতের মামলায় বাসচালক জামির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে আদালতের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে সারাদেশে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।
এই ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, চিটাগাং রোড থেকে কোনো পাবলিক বাস ঢাকায় প্রবেশ করছে না।
সায়েদাবাদের বেশ কয়েকটি বাস কাউন্টার জানিয়েছে, অগ্রিম টিকিটধারীদের টিকিট ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া সেসব এলাকা থেকে হেঁটেই মানুষ কর্মস্থলে রওনা দিয়েছে।
পরিবহন শ্রমিকরা জানিয়েছে,গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সিপিবি-বাসদ ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার অর্ধদিবস হরতালের সঙ্গে এই ধর্মঘটের কোনো সম্পর্ক নেই।
ওদিকে, ঢাকা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের একটি গ্রুপ গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে সকল ধরণের পরিবহন বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে হাজার হাজার যাত্রী।
আজ সোমবার ভোর ৭টা থেকে সকল দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে দক্ষিণা-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলায় ডাকা পরিবহন ধর্মঘট এখনো অব্যাহত রয়েছে।
ভুক্তভোগী এক যাত্রী ইকবাল হোসেন শিপলু জানান, তিনি হেমায়েতপুরের একটি ব্যাংকের কর্মকর্তা। শ্যামলী থেকে একটি পরিবহন বাসে ওঠার পর বাসটি টেকনিকাল মোড়ে শ্রমিকেরা থামিয়ে দেন। টেকনিকাল মোড় থেকে গাবতলীর দিকে কোন বাসই ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। এখানে পরিবহন শ্রমিকরা অবস্থান নিয়ে সকল প্রকার পরিবহন বাস বন্ধ করে দিয়েছে।
এদিকে পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদ আহমেদ জানান, সকাল থেকে টেকনিকাল মোড়, গাবতলী মাজার রোড ও আমিন বাজারে পরিবহন শ্রমিকদের একটি গ্রুপ বাস চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। তবে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ৩২ জেলায় বাস চলাচল করে।
Be the first to comment on "পরিবহন ধর্মঘটে বিপাকে সাধারণ মানুষ"