নিউজ ডেস্ক : বঙ্গোপসাগরে মাছের নতুন একটি প্রজাতির সন্ধান পেয়েছেন গবেষকরা। সমুদ্রের প্রায় ২শ মিটার গভীরে এই প্রজাতির সন্ধান পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। নতুন এই প্রজাতির মাছের বৈজ্ঞানিক নাম নিও এপিনিলা। তবে এখনো এর স্থানীয় নাম দেয়া হয়নি। সমুদ্রে মৎস্য জরিপ ও অনুসন্ধান কাজে নিয়োজিত জাহাজ ‘মীন সন্ধানী’র গবেষকরা গত সপ্তাহে এই মাছটির অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন।
জাহাজটির একজন গবেষক ও ক্রুজ লিডার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইদুর রহসান চৌধুরী জানান, বাংলাদেশের সমুদ্রে নতুন মাছের সন্ধান পেয়েছে আর ভি মীন সন্ধানী। মাছটির বৈজ্ঞানিক নাম Neoepinnula orientalis. সনাক্তকরণে সাহায্য করেছেন Peter Psomadakis, FAO, Rome.
ড.সাইদুর রহমান আরো জানান, সমুদ্রের ২শ মিটার গভীরে যেখানে এই মাছটির সন্ধান পাওয়া গেছে সেখানে বাংলাদেশের কোনো নৌযান কখনো মাছ ধরতে যায়নি। এই প্রজাতির মাছ ইতোপূর্বে দেখা যায়নি।
‘এই প্রজাতির যে কয়টির মাছ পাওয়া গেছে সেগুলোর আকার ৫/৬ ইঞ্চির মতো হবে। এটি মাছটির পরিণত আকার কিনা তা নিয়ে গবেষণা করা হবে,’ বলেন তিনি।
বঙ্গোপসাগরের মৎস্য সম্পদের পরিমাণ ও প্রকার নিয়ে গবেষণা করার জন্য অনুসন্ধানী জাহাজ ‘মীন সন্ধানী’ গত ডিসেম্বর থেকে কাজ শুরু করেছে। এই জাহাজ দিয়ে দেশের সমগ্র সমুদ্রসীমায় মৎস্য সম্পদ জরিপ করা যাবে। এই জাহাজটি ইতোমধ্যে চিংড়ি জরিপসহ বেশ কয়েকটি ক্রুজ সম্পন্ন করেছে। গত সপ্তাহে জাহাজটি উপকূল থেকে কয়েকশ কিলোমিটার দূরে যন্ত্রপাতি ও জাল পরীক্ষা করার জন্য ট্রায়াল ক্রুজে যায়। এই ক্রুজে দেখা মিলে মাছের নতুন প্রজাতি নিও এপিনিলার।
সাইদুর রহমান চৌধুরী আরো জানান, ইতোমধ্যে পরিচালিত ক্রুজগুলোতে বেশ কিছু নতুন প্রজাতির কাকড়া ও অন্যান্য মৎস্য জাতীয় প্রাণির সন্ধান মিলেছে। এই প্রজাতিগুলো নিয়ে গবেষণা চলছে।
বঙ্গোপসাগরে এই পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চারশ প্রজাতির মাছের অস্তিত্বের কথা শোনা গেলেও তা পুরোপুরি নির্ভরযোগ্য নয় বলেও মনে করেন ড. সাইদুর রহমান।
তিনি বলেন, এই সংখ্যাটা কখন কীভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে তার কোনো সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।
‘মীন সন্ধানী’ জাহাজের গবেষণায় মৎস্য অধিদপ্তরকে কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা ফাও।
Be the first to comment on "বঙ্গোপসাগরে নতুন প্রজাতির মাছের সন্ধান"