নিউজ ডেস্ক : দেশের যেকোনো ভূমি উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করতে হলে সরকারের নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন লাগবে। এমন বিধান যুক্ত করে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা আইন’ ২০১৭ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আজ সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই আইন লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল ও ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। এই আইনের অধীনে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২৭ সদস্যের একটি উপদেষ্টা পরিষদ থাকবে। এই উপদেষ্টা পরিষদ এ সংক্রান্ত সরকারি কর্তৃপক্ষগুলোর কাজের সমন্বয় সাধন করবে। আর দৈনন্দিন কাজের জন্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিবের নেতৃত্বে ২৫ সদস্যের একটি নির্বাহী পরিষদ কাজ করবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বর্তমানেও ভূমি উন্নয়নকাজের জন্য রাজউক, সিটি করপোরেশন, পৌরসভাসহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হয়। এখন এটিকে একটি আইনি কাঠামোয় নিয়ে আসা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ না থাকলেও সেটি বিধিতে উল্লেখ করা হবে। এ সময় সাংবাদিকেরা জানতে চান, কেউ যদি গ্রামের বাড়িতে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে, তাহলে কোনো অনুমোদন লাগবে কি না। তখন মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, লাগবে। তিনি বলেন, এখনো ইউনিয়ন পরিষদসহ সংশ্লিষ্টদের অনুমোদন নেওয়ার কথা। কিন্তু নেওয়া হয় না।
সারা দেশে ভূমি ব্যবহারে শৃঙ্খলা আনার জন্যই এ আইন করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটি অনেক দিনের প্রত্যাশিত আইন।
এ ছাড়া আজকের সভায় ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস ঘোষণা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি পালনের জন্য মন্ত্রিপরিষদের জারি করা পরিপত্র ‘ক’ ক্রমিকে অন্তর্ভুক্তকরণের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এ বিষয়ে সচিব বলেন, ‘ক’ ক্রমিকে অন্তর্ভুক্ত করার অর্থ হলো, দিবসটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পালন করা হবে। এ ছাড়া আজকের সভায় বালাইনাশক আইন’ ২০১৭, বস্ত্র আইন’ ২০১৭ এবং প্রবাসী কল্যাণ বোর্ড আইন’ ২০১৭ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
গতকাল শততম টেস্ট ম্যাচে অবিস্মরণীয় জয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছে মন্ত্রিসভা।
Be the first to comment on "ভূমির অপব্যবহার রোধে ‘নগর অঞ্চল ও পরিকল্পনা আইন’"