নিউজ ডেস্ক : তিনি অনেক আগেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের নয়নের মণি। মাঠ ও মাঠের বাইরে সমান জনপ্রিয় টাইগার ক্যাপ্টেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। এই জনপ্রিয়তার প্রধান কারণ তার হার না মানা মনোভাব। বারবার চোটের বিরুদ্ধে লড়াই করে ফিরে আসা। একইসঙ্গে দলের সবাইকে চাঙ্গা করতে মাশরাফির জুড়ি নেই। সবার মনে সাহস যোগানো, কারও সমস্যা হলে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করা আর সবার সঙ্গে মিশতে পারা ম্যাশের গুণাবলীর অংশ। দলের সবচেয়ে সিনিয়র ক্রিকেটারের এরকম প্রচেষ্টায় মুগ্ধ ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল।
লঙ্কানদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৯০ রানের বড় ব্যবধানে দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছে টিম টাইগার। এর পেছনেও আছে মাশরাফির অবদান। নিউজিল্যান্ড সফরে ফিল্ডিং করতে গিয়ে তার বৃদ্ধাঙ্গুল ভেঙে গিয়েছিল। যা এখনও পুরোপুরি ঠিক হয়নি। এরপরও স্বরুপে দেখা দিলেন ম্যাশ। ইনিংসের তৃতীয় বলেই তুলে নিলেন উইকেট। শেষ দিকে আরও একটি। চোট নিয়ে কোনো ভাবনাই দেখা গেল না মাশরাফির মধ্যে। ফিল্ডিংয়ে সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন, শুভাগত হোম চৌধুরীদের মতোই দারুণ তৎপর দেখা গেল অধিনায়ককে।
তামিম বললেন, “মাশরাফি ভাই দলের সবচেয়ে সিনিয়র ক্রিকেটার। ফিল্ডিংয়ে উনার প্রচেষ্টা যদি দেখেন, এটা আমার কাছে মনে হয় দুর্দান্ত একটি ব্যাপার। আমরা হয়তো সব ম্যাচ জিততে পারবো না, কিন্তু এই মনোভাব যদি সবার থাকে, তাহলে অনেক কাজই সহজ হয়ে যায়। ”
এছাড়া প্রথম ওয়ানডেতে দলগত পারফর্মেন্সে অনেকটাই সন্তুষ্ট মনে হলো তামিমকে। তিনি আরও বললেন, “দল হিসেবে, এই পারফরম্যান্স আমার কাছে মনে হয়, অসাধারণ। আপনি যদি ফিল্ডিং দেখেন, সব খেলোয়াড়ের সম্পৃক্ততা দেখেন। সবার সম্পৃক্ত থাকার যে ব্যাপারটি আমরা শুরু করেছি, এটা যেন ধরে রাখতে পারি। ”
লঙ্কানদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচটি শুরু হবে আগামী ২৮ মার্চ বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায়। এই ম্যাচেই সিরিজ নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ।
Be the first to comment on "‘মাশরাফি ভাইয়ের মত মনোভাব যদি সবার থাকত’"