নিউজ ডেস্ক ॥ পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার শুনানি ৯ই অক্টোবর থেকে প্রতিদিনই চলবে। সোমবার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তানের একটি বিশেষ আদালত। পারভেজ মোশাররফ ক্ষমতায় থাকাকালীন ২০০৭ সালের নভেম্বরে সংবিধান বহির্ভূত জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন। এ জন্য ২০১৩ সালে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের সরকার। এ মামলার শুনানি ছিল সোমবার। এদিন বিচারপতি ইয়াওয়ার আলির নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইবুনাল মামলার শুনানি মুলতবি করেন। তারা এরপর ৯ই অক্টোবর থেকে প্রতিদিন এ মামলার শুনানির সিদ্ধান্ত নেন। বিচারপতি ইয়াওয়ার আলি বলেন, এ মামলাটি দ্রুত সমাপ্তির দিকে যাবে।
বর্তমানে পারভেজ মোশাররফ দুবাইয়ে অবস্থান করছেন। কিভাবে তাকে আদালতে হাজির করানো যায় সে বিষয়ে লিখিতভাবে আদালতকে জানাতে নির্দেশনা দিতে বলা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে। প্রসিকিউশনের আইনজীবী নাসের উদ্দিন নায়ারকে বিচারপতি আলি বলেন, আদালতকে গাইডলাইন দিন যে, মোশাররফের বক্তব্য কি ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে রেকর্ড করা যায় কিনা।
২০১৬ সালের ১৮ই মার্চ চিকিৎসার নাম করে দুবাই পাড়ি জমান পারভেজ মোশাররফ। প্রতিশ্রুতি দেন শিগগিরই ফিরে আসবেন দেশে। সুপ্রিম কোর্ট এক পর্যায়ে তার নাম এক্সিট কন্ট্রোল লিস্ট থেকে বাদ দেয়ার নির্দেশ দিলে তিনি বিদেশে যেতে সক্ষম হন। এর কয়েক মাস পরে বিশেষ আদালত তাকে অপরাধী হিসেবে ঘোষণা দেয়। তার সব সহায় সম্পত্তি জব্দ করে নেয়ার নির্দেশনা দেয় আদালত। ওদিকে নিরাপত্তার অজুহাতে বার বার পাকিস্তানে ফিরতে অস্বীকৃতি জানান মোশাররফ। তার আইনজীবী আকার শাহ বলেছেন, নিরাপত্তার কারণে ব্যক্তিগতভাবে আদালতে হাজির হতে পারছেন না পারভেজ মোশাররফ। তা ছাড়া তার স্বাস্থ্যও ভালো নয়। দুবাইয়ের চিকিৎসকরা তাকে ভ্রমণ করতে অনুমতি দিচ্ছেন না এ জন্য। যদি সরকার তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাহলে তিনি আদালতে হাজির হতে পারেন।
১৯৯৯ সালে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেন পারভেজ মোশাররফ। তারপর থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি ক্ষমতা আঁকড়ে থাকেন। এ সময় বিরোধীদের আন্দোলনের মুখে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়।
Be the first to comment on "মোশাররফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা প্রতিদিন শুনানি"