শিরোনাম

রেইনট্রি হোটেলের মদের লাইসেন্স নেই

নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর বনানীর বহুল আলোচিত রেইনট্রি হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এইচ এম আদনান হারুন বলেছেন, ‘রেইনট্রি হোটেলে মদের লাইসেন্স নেই।’

 

মঙ্গলবার  দুপুরে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

 

এর আগে সকাল ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ কর্তৃপক্ষ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সেখান থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন এইচ এম আদনান হারুন।

 

হোটেলে মদ পাওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হোটেলে অব্যবস্থাপনার কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে।

 

তিনি জানান, তাদের বিরুদ্ধে শুল্ক গোয়েন্দাদের যেসব অভিযোগ রয়েছে সে বিষয়ে কাগজপত্র আজ জমা দিয়েছেন।

 

রেইনট্রি হোটেলের এমডিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক মইনুল খান। তিনি বলেন, ১৪ মে রেইট্রি হোটেলে অভিযান চালিয়ে ১০ বোতল মদ উদ্ধারের পর হোটেল কর্তৃপক্ষ বলেছিল এগুলো জুস। তবে আজ (মঙ্গলবার) তারা স্বীকার করেছে— এগুলো মদ। মদ কেন রাখা হয়েছিল জানতে চাইলে তারা বলেন, গত এপ্রিলে বিদেশি অতিথিদের একটি দল তাদের হোটেলে এসেছিল। ওই অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য এসব মদ আনা হয়েছিল। পরে এগুলো হোটেলের ১০১ নম্বর কক্ষে রাখা হয়।

 

মইনুল খান আরও জানান, রেইনট্রি হোটেলের বিরুদ্ধে ৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকার শুল্ক ফাঁকির অভিযোগের বিপরীতে তারা যেসব কাগজপত্র জমা দিয়েছেন সেগুলো সঠিক নয়। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

 

হোটেলে অবৈধভাবে মদ রাখা এবং ভ্যাট ও শুল্ক ফাঁকির অভিযোগের ব্যাখ্যা চেয়ে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের নোটিশে আদনান হারুন মঙ্গলবার কাকরাইলের শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে হাজির হন।

 

এরআগে ওই নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন ঝালকাঠির সরকারদলীয় এমপি বজলুল হক হারুনের ছেলে আদনান। সোমবার দুপুরে ওই রিটের শুনানি নিয়ে নোটিশের কার্যকারিতা এক মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। পাশাপাশি ওই নোটিশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়।

 

কিন্তু পরে হাইকোর্টের আদেশের বিষয়ে সুপ্রীমকোর্টের চেম্বার আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন।

 

বনানীর এই হোটেলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গত ৬ মে রাজধানীর বনানী থানায় একটি মামলা হয়। মামলায় দুই ছাত্রী অভিযোগ করেন, আপন জুয়েলাসের্র অন্যতম মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ ও তার বন্ধুরা গত ২৮ মার্চ রেইনট্রি হোটেলে জন্মদিনের দাওয়াতে ডেকে নিয়ে তাদের ধর্ষণ করে।

 

 

Print Friendly, PDF & Email
basic-bank

Be the first to comment on "রেইনট্রি হোটেলের মদের লাইসেন্স নেই"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*