নিউজ ডেস্ক॥ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার আমাদা গ্রামে পুলিশ মোতায়েন থাকা অবস্থায় মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৫টার দিকে প্রতিপক্ষের হামলায় আমাদা ও পার্শ্ববর্তী কামাল প্রতাপ গ্রামের ২৮ টি বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে জানা গেছে,আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে আমাদা গ্রামের আবুল কাশেম খান সমর্থীত মুক্তার শেখ’র নের্তৃত্বে রাজা, খাজা, যুব শেখ, বাবুল,ইরাদুল, মাসুম, টেরিয়ান, লাভলু, বদির, মুনসুর,ইমন ,মাসুদ খান, শফি,নিয়ামুল জিহাদ, আসাদ, রাফি,কাফি মোল্যা, সেকান্দার,রমজান মুন্সি ও শিপন কাজীসহ ৫০-৬০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র রামদা, ঢাল-সড়কি নিয়ে গ্রাম্য প্রতিপক্ষ আলী আহম্মেদ খান সমর্থীত লোকজনদের ২৮ টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচৃুর ও লুটপাট করে। হামলায় আমাদা গ্রামের এ্যাডভোকেট আলাউদ্দিন, বীরু, বিষু, হামিদ, ইয়াছিন, জুলফিকার,এনামুল, ইকরামুল, রশিদ,শাহিদ, নুরোল খান, শরিফুল, সোহরাব, মিকাইল, ইন্দাল, মানোয়ার, কালাম, ওমর,নান্টু খান, রুকু, ইসরাফিল মল্লিক ও মজহারুলের বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করেন। পরে তারা নড়াইল সদর উপজেলার কামাল প্রতাপ গ্রামের সিদ্দিক আহম্মেদ মল্লিক, সেনা সদস্য সার্জেন্ট মোশতাক আহম্মেদ মল্লিক,তারিকুল ইসলাম ও ইদ্রিস মল্লিকের বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। মিকাইল মল্লিকের স্ত্রী আছিয়া বেগম অভিযোগ করে বলেন,একই গ্রামের সনেট, রাজা, খাজা, টেরিয়ান, আসাদসহ বেশ কয়েকজন ঘরে ডুকে বাড়িতে রক্ষিত নতুন ঘর নির্মানের ৫০হাজার টাকা ও মূল্যবান জিনিষপত্র লুট করে।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম ২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর লোহাগড়া থানায় যোগদানের পর থেকে আমাদা গ্রামের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগীরা। পুলিশ মোতায়েন স্থল থেকে ঘটনাস্থলের দুরত্ব আধা কিলোমিটারেরও কম। পুলিশ থাকা অবস্থায় দু’বারসহ চার মাসে আমাদা গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে অন্তত পাঁচবার সংঘর্ষ, বাড়িঘর ভাংচুর-লুটপাটসহ কয়েকজনকে কুপিয়ে গুরুত্বর আহতের ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি যোগদানের পর আমাদা গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় চারটি মামলা হয়েছে। আমি আসার আগে যিনি ওসি ছিলেন, তার সময় তো থানা গেটেও কোপাকুপি হয়েছে। এক্ষেত্রে আমার সময়ে অবনতি হয়েছে, না তার আগে হয়েছে সেটি পর্যালোচনা করলে বুঝতে পারবেন’ বলে সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন করেন। ওসি আরো বলেন, আমাদা বাজারে পুলিশ মোতায়েন থাকলেও ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই অপরাধীরা পালিয়ে যায়। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ভাংচুরের ঘটনায় অভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হবে।
Be the first to comment on "লোহাগড়ায় পুলিশ প্রহরার মধ্যেই ফের ২৮ বাড়ি ভাংচুর-লুটপাট"