নিউজ ড়েস্ক ॥ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার পার মল্লিকপুর গ্রামে একটি হত্যা ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়িছাড়া হয়ে পড়ে ৬৭টি পরিবার। গত ২১ এপ্রিল ওই গ্রামের খায়ের মৃধা হত্যা ঘটনার প্রায় একমাস ধরে ওই পরিবারগুলো বাড়িছাড়া হয়ে পড়েন। গত শুক্রবার দুপুরে এসব পরিবারকে বাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। এ সময় ওই ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ পাঁচজনকে আটক করে। এ সময় সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান ও জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে মল্লিকপুর ইউ’পি সদস্য উজ্জ্বল ঠাকুর ও সাবেক ইউপি সদস্য হিমায়েত হোসেন হিমু পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলে আসছে। তার জের ধরে ২০১৬ সালের ১৬আগষ্ঠ হেমায়েত হোসেন হিমু পক্ষের মধ্যে জোড়া হত্যার ঘটনা ঘটে। ওই হত্যাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। হত্যা মামলার আসামী পক্ষের ৪৬টি পরিবার ২’শ ৫২দিন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়ান। পরে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগীতায় গত বছরের ২৫ এপ্রিল ওই পরিবার গুলো বাড়িতে আসতে সক্ষম হয়। ১৩ মাস পর গত ২১ এপ্রিল উজ্জল ঠাকুর পক্ষীয় খায়ের মৃধাকে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা। সে ঘটনায় গত ২২এপ্রিল ৫১ জন ও ২৩ এপ্রিল আরেকটি মামলায় ১৬জনকে আসামী করে লোহাগড়া থানায় পৃথক দু’টি মামলা হয়। পুলিশি হয়রানী এড়াতে আসামীরা আত্মগোপন করে। গ্রামে পুরুষ শুন্য হয়ে পড়লে প্রতিপক্ষরা প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে লুটপাট চালায়। আসন্ন রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়িছাড়া অন্তত ২০টি পরিবারের নারী-পুরুষ ও শিশুরা নড়াইলের পুলিশ সুপারের সাথে সাক্ষাত করে বিষয়টি অবহিত করেন। তারই প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার সকাল ১১টায় তাদের স্থানীয় খলিশাখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে হাজির হতে বলা হয়। তাদের ওপর অত্যাচারের কাহিনি নড়াইলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী হাসানের কাছে তুলে ধরেন। পরে পুলিশ তাদের নিজ নিজ বাড়িতে তুলে দেয়।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, ওই খুনের পর তাদের মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়, পরে বাড়িতে উঠতে গেলেও মারধর করেছে। ঘরের মালামাল ও গরু-ছাগল লুট-পাট করেছে, গাছপালা ও ক্ষেতের ফসল কেটে নিয়েছে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই গ্রামের দুলাল ঠাকুর, আনিস ঠাকুর, অকি শেখ, আল আমিন ঠাকুর ও সাইফুল মৃধাকে পুলিশ আটক করে মুসলেকায় ছেড়ে দেয় । সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান বলেন, ওই গ্রামে শান্তির লক্ষে যা যা করণীয় পুলিশ প্রশাসন তার সকল ব্যবস্থা করবে।
লোহাগড়ায় যুবক হত্যার জের, ২৭দিন পর বাড়ি ফিরলো ৬৭পরিবার

Be the first to comment on "লোহাগড়ায় যুবক হত্যার জের, ২৭দিন পর বাড়ি ফিরলো ৬৭পরিবার"