নিউজ ডেস্ক॥ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রামে কুয়েত প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ মিজানুর রহমান হত্যা ঘটনায় ৪৯ জনের নামে মামলা হয়েছে। গত রোববার রাতে লোহাগড়া থানায় এ মামলা করেন নিহতের ভাবি সাকিলা বেগম।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুকে হুকুমের আসামী করা হয়েছে। বাকি আসামিরা ওই গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। এর মধ্যে নোয়াগ্রামের সৈয়দ হুমায়ুন কবির ও শামুকখোলা গ্রামের কাজী কালাম হোসেনকে মামলা রেকর্ডের আগেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়েছেন ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আমান উল্লাহ বারী।
শনিবার (২৭এপ্রিল) দুপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন প্রবাসী মিজানুর রহমান। তিনি প্রায় ১২ বছর পর এক মাস আগে গ্রামে এসেছেন। নোয়াগ্রাম ইউপি সদস্য শেখ বুলবুল আহম্মদ জানিয়েছেন, মিজান কুয়েত শাখা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
সূত্র বলেছে, গত ২৪ মার্চ লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই ওই গ্রামে বিবাদমান দুটি পক্ষ রয়েছে। একপক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু এবং অপর পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন পাশের দেবী গ্রাম ও নোয়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ফয়জুল হক রোম। নিহত মিজানুর রহমান ফয়জুল হক রোম পক্ষের লোক ছিলেন। ফয়জুল হক রোম উপজেলা নির্বাচনে নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিকদার আবদুল হান্নান রুনু পক্ষে ছিলেন। নির্বাচনে শিকদার আবদুল হান্নান রুনুর কাছে সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু পরাজিত হয়।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, হত্যা ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এজাহারভুক্ত দুজনকে আগেই আটক করা হয়েছে। বাকি আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে।
Be the first to comment on "লোহাগড়া উপজেলা আ’লীগের সম্পাদকসহ ৪৯ জনের নামে হত্যা মামলা"