নিউজ ডেস্ক : সামুদ্রিক মৎস্য আইন- ২০১৭ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আজ সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিতে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনের খসড়ায় অনুমোদন দেয়া হয়। আজ সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এক বা একাধিক মৎস্য প্রজাতির উৎসস্থল সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে জরিমানা বাড়িয়ে এ অনুমোদন দেয়া হয়। তিনি বলেন, বৈঠকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব করা শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউশন আইন-২০১৭ এর খসড়ায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ১৯৯৮ সাল থেকে শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন কেন্দ্র পরিচালিত হয়ে আসছে। তবে ইনস্টিটিউট পরিচালনায় একটি নির্বাহী কাউন্সিল থাকবে। যুব মন্ত্রণালয়ের সচিব পদাধিকারবলে এ কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী হবেন। এছাড়া ১৮ ক্যাটাগরিরর প্রতিনিধিরা এ কাউন্সিলের অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। সরকার মনোনীত সদস্যরা তিন বছর দায়িত্ব পালন করবেন। কাউন্সিল বছরে কমপক্ষে দুইবার সভা করবে। তিনি আরও বলেন, দেশের যুবকদের জাতীয় সম্পদে পরিণত কতেই এ প্রতিষ্ঠানকে একটি থিংক ট্যাংক হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এছাড়া যুবকদের ডিপ্লোমা ও অন্যান্য ডিগ্রিও দিতে পারবে প্রতিষ্ঠানটি। এটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের মাধ্যমে নিবন্ধীত হতে পারবে।
এছাড়া মন্ত্রিসভা বৈঠকে জাতীয় যুব নীতি-২০১৭ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে। ২০০৩ সালের আইনটি সময় উপযোগী করে যুব নীতির সজ্ঞায় বলা হয়েছে, ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়স্করাই যুবক হিসেবে বিবেচিত হবেন। আইনে ১৮ ক্যাটাগরির যুবক শনাক্ত করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশ ও ভুটান এবং বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে দ্বৈত কর আরোপ পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধে চুক্তির খসড়ায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ-ভুটান-ইন্ডিয়া-নেপাল (বিবিআইএন)-এর আওতায় চুক্তিপত্রটি তৈরি করা হয়েছে। চুক্তিপত্রে ৩২টি আর্টিকেল সংযুক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রিপাবলিক অব কসোভোকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। ফলে কসোভোকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ১১৪তম এবং ওআইসিভুক্ত রাষ্ট্রের মধ্যে ৩৭তম রাষ্ট্র। এছাড়া সংসদ সদস্য ও হুইপ ইকবালুর রহীমকে অভিনন্দন জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। ওয়ার্ল্ড লিডারশিপ ফেডারেশনের দেওয়া সোস্যাল ইনোভেটর ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পাওয়ায় তাকে এ অভিনন্দন জানানো হয়েছে। তিনি নিজের নির্বাচনি এলাকায় ১২৫ জন হিজরা সদস্যদের নিয়ে মানবপল্লী ও বৃদ্ধাশ্রমসহ তাদের কল্যাণে যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করায় তিনি এ পুরস্কার পেয়েছেন।
Be the first to comment on "সামুদ্রিক মৎস্য আইনের খসড়া অনুমোদন"